নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর: দলে থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিয়েছিলেন অনেক আগে থেকেই৷ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি এবার তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়বেন না৷ যার পর থেকেই তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক শীলভদ্র দত্তকে ঘিরে শুরু হয়েছিল নানান জল্পনা৷ শুক্রবার সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলের সমস্ত সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্ত৷ তাহলে কি এবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি? তা বোঝা যাবে উনিশ তারিখেই৷ শুক্রবার ইস্তফা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি৷ বলেন, দলে থেকে অসম্মানিত হয়েছেন তিনি৷
এরপর ঠিক কী করতে চলেছেন বিধায়ক? তার উত্তরে তিনি জানান, তিনি কিছু ঠিক করেননি৷ একইসঙ্গে যে পার্টি অফিসে এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো থাকত রাতারাতি তা বদলে সেখানে রাখা হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের ছবি৷
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে অবশেষে ইস্তফা দিলেন ফিরোজ কামাল গাজী ওরফে (বাবু মাষ্টার )। শুধু তাই নয় জেলা পরিষদ কে দুর্নীতির পাহাড় বলে বিষ্ফোরক মন্তব্য বাবু মাষ্টারের। নাম না করে জেলা পরিষদের এক প্রভাবশালী কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন বাবু মাস্টার৷ একইসঙ্গে জানান, তার সামনে অনেক পথ খোলা আছে৷ ডান পথেই হাঁটবেন তিনি৷ জেলা পরিষদে সভাধিপতি না থাকায়,সভাধিপতির সেক্রেটারির হাতে তার ইস্তফা পত্র জমা দিলেন শুক্রবার।
তিনি বলেন, সম্মানের সাথে আপস করা চলে না। গত কয়েক মাস ধরে দল যে ব্যবহার করেছে তা আর মানতে না পেরে বাবু মাস্টারের এই সিদ্ধান্ত। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সে তার নিজের এলাকায় যেতে পারবে না দিনের পর দিন, এ তো মেনে নেওয়া যায়না। একজন কর্মাদক্ষ হিসাভে যে মর্জাদা পাওয়ার দরকার সেই মর্যাদা নেই, একজনের কথায় সব চলে বলে অভিযোগ। তবে ১৯ তারিখে বিজেপির মঞ্চে দেখা যাবে কিনা তা পরিস্কার করেনি বাবু মাস্টার, শুধু বলেছে সময় এলে সব বোঝা যাবে। শুভেন্দু অধিকারির বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর গোটা বঙ্গ জুড়ে তৃণমূল ছাড়ার যেন হিড়িক পরে গিয়েছে৷ যার জেরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল৷