কলকাতা: দলত্যাগীরা সকলেই অভিযোগ করেছেন, তাঁরা সম্মান পাননি৷ কাজ করার সুযোগ পাননি৷ অসম্মানিত হয়েই দল ছেড়েছেন৷ এক্ষেত্রে দলের একটা দায়িতেব থেকে যায়৷ তাঁদের সঙ্গে দলের কথা বলা উচিত ছিল৷ আবার দলত্যাগীদেরও উচিত ছিল এই দুঃসময়ে দল ছেড়ে না যাওয়া৷ তারাপীঠে পুজো দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়৷
আরও পড়ুন- BREAKING: ভোটের মুখে হাইকোর্টে স্বস্তি পেল ছত্রধর, ভোটে অবাধ বিচরণ
এদিন পুজো দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজ্য স্তরের নেত্রী৷ তাই অন্যান্য জেলায় প্রচার চালাচ্ছি৷ আমি নিশ্চিত তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা আসবেন৷ উনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন৷’’ সেই সঙ্গে তাঁর খোঁচা, যাঁরা দল ছেড়েছেন, তাঁদের ছোট ছোট সমস্যা সমাধান করা হলে হয়তো তাঁরা থেকে যেতেন৷ দলেরও সমান দায়িত্ব তাঁদের সম্মান দেওয়া৷ আবার নির্বাচনের আগে, দলের খারাপ সময়ে দলত্যাগ করা ঠিক নয়৷ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘শতাব্দী ওঁর কথা বলেছেন৷ উনি এটাও বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন৷ তিনি বাংলায় ঘুরে প্রচার করেও এটা বুঝতে পারছেন৷ ভোটের মুখে যাঁরা চলে যাচ্ছেন তাঁদেরও নিন্দা করেছেন শতাব্দী৷’’
আরও পড়ুন- একুশের কুরুক্ষেত্রে গেরুয়া টিকিট কাদের পকেটে? দেখুন সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা
কুণাল আরও বলেন, আর সম্মান অসম্মানের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, যাঁরা তৃণমূলে বিধায়ক, সাংসদ বা মন্ত্রী পদে ছিলেম, তাঁরা দলে সম্মান পাননি, সেটা ভাবা ঠিক নয়৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি, সেটাও ঠিক নয়৷ দলের তরফ থেকে কথা বলা হয়েছে৷ উনি আরও একটি উল্লেখযোগ্য কথা বলেছেন যে, অন্য কোনও এজেন্ডাও থাকতে পারে৷ বিধায়ক পদ, মন্ত্রীত্ব, বিভিন্ন বোর্ডে চেয়ারম্যান একাধিক পদ দেওয়ার পরও যাঁরা সম্মানের কথা বলছেন তাঁদের নিশ্চিতভাবেই অন্য এজেন্ডা ছিল৷ আসল কারণগুলোকে ঢাকতেই এই কথাগুলো বলেছিলেন৷ শতাব্দীর বক্তব্যে বিরাট দোষের কিছু দেখছি না৷ আলাদা কোনও তাৎপর্যও দেখতে পাচ্ছি না৷ তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতছেন৷ এটাই সত্য৷’’