গয়েশপুর: বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে ঘিরে গয়েশপুরে তুমুল বিক্ষোভ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গয়েশপুরের বেদীভবন এলাকায়৷ এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে চলছে তুমুল অশান্তি৷ তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা রীতিমতো মারমুখী হয়ে ওঠে৷ তাঁদের সামলাতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে৷
আরও পড়ুন- ব্যাপক বোমাবাজি গয়েশপুরে, বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
আজ বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এখানে আসার পরই উত্তেজনা ছড়ায় গয়েশপুরে৷ তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন৷ তাঁদের বক্তব্য, শান্তনু ঠাকুর এখানে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসেছেন৷ তাই অবিলম্বে তাঁকে এলাকা ছাড়তে হবে৷ এই দাবিতে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন৷ রীতিমতো শান্তনু ঠাকুরের দিকে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা৷ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তাঁদের আটকাতে হিমশিম খান৷ তৃণমূল কর্মীদের দাবি, শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে যারা এসেছে তারা সকলেই নামকরা দুষ্কৃতী৷
অন্যদিকে, শান্তনু ঠাকুরের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ওরা কারা আমরা চিনি না৷ আমি দুষ্কৃতী নিয়ে এসেছি কিনা, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন৷ গন্ডোগোল হচ্ছে শুনে এখানে দেখতে এসেছি৷ বুথের ভিতরেও ঢুকিনি৷ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে৷ পুলিশের সামনে মেশিন নিয়ে খুন করার হুমকি দিচ্ছে৷ ’’ বহিরাগত প্রশ্নে মেজাজ হারিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কে বহিরাগত? স্থানীয় সাংসদকে বহিরাগত বলে মনে হচ্ছে ওদের৷ সাংসদ দেখতে আসবে না কোথায় সন্ত্রাস হচ্ছে? তাঁর কি দায়িত্ব নেই? পুলিশ এখানে অকর্মন্য হয়ে রয়েছে৷’’ তাঁর আরও অভিযোগ রীতিমতো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূলের সমর্থকদের লাঠি দিয়ে ব্যারিকেড করে আটকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে৷ দুই তরফের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ এড়ানো যায়৷