নাগরিকত্ব নিয়ে জমছে ক্ষোভ! মতুয়াদের সভা থেকে ফিরে গেলেন শান্তনু ঠাকুর, কিন্তু কেন?

নাগরিকত্ব নিয়ে জমছে ক্ষোভ! মতুয়াদের সভা থেকে ফিরে গেলেন শান্তনু ঠাকুর, কিন্তু কেন?

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাগদা: নাগরিকত্ব নিয়ে মতুয়া সমাজে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ! মতুয়াদের সভায় ঢুকতে পারলেন না বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর৷ গাড়ি নিয়ে ফিরে যেতে হল তাঁকে৷ বাগদার রামনগরে সিএএর সমর্থনে মতুয়াদের সভায় না এসে মাঝ পথ থেকেই ফিরলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর৷ সূত্রের খবর,  ক্ষুব্ধ মতুয়ারা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে বাধা দিলে ফিরে যেতে হয় সুব্রত ঠাকুরকেও৷ একুশের নির্বাচনের আগে এধরণের ঘটনায় রীতিমত অস্বস্তি পড়েছে বঙ্গ বিজেপি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব আইন৷ তবে সেই আইন এখনও লাঘু হয়নি৷ যার জেরে বিজেপির প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়েছে মতুয়া সমাজে৷ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের প্রতি আগেই আস্থা হারিয়েছে তারা৷ এখন বিজেপিকেও ভরসা করতে পারছে না মতুয়াদের একাংশ৷ জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা বাগদা রামনগরে সি এ এ এর সমর্থনে মতুয়া সেনার উদ্যোগে একটি সভা হওয়ার কথা ছিল।  কিন্তু সেই সভায় আসার মুখে বাগদা বাজারে মতুয়ারা শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে পদযাত্রা করবার জন্য আহ্বান জানায়। যাতে কিছুটা ক্ষুব্দ হয়ে সেখান থেকেই ফিরে যান শান্তনু ঠাকুর এবং সভা করবার জন্য পাঠিয়ে দেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া সংঘের আর এক সঙ্ঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুরকে। তবে শান্তনু ঠাকুর না আসায় ক্ষুব্দ মতুয়ারা সুব্রত ঠাকুরকে অনুষ্ঠানস্থলে ঢোকার মুখে দাঁড় করিয়ে অভিযোগ জানাতে থাকে। যাতে তিনিও কিছুটা ক্ষুব্ধ হন। মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছেও ক্ষুব্ধ সুব্রত ঠাকুরও ফিরে যায় সভাস্থল থেকে। 

যদিও এপ্রসঙ্গে মতুয়া সমাজের দাবি, শান্তনু ঠাকুরের জরুরী মিটিং থাকায় চলে গিয়েছেন তিনি৷ এঘটনাকে নিয়ে তোপ দাগতে ছাড়েনি তৃণমূল৷ তৃণমূলের দাবি, মতুয়াদের আশাহত করেছেন শান্তনু৷ তিনি এলে আরও বড় ঝামেলা হতে পারত৷ যদিও বিজেপির দাবি, ইমার্জেন্সি ফোন আসার কারণে তড়িঘড়ি বেরিয়ে যেতে হয় শান্তনু ঠাকুরকে৷

উনিশের লোকসভা ভোটে নাগরিকত্ব পাওয়ায় আশাতেই মতুয়াদের ভোট গিয়েছিল বিজেপির দিকে৷ কিন্তু এখনও নাগরিকত্ব আইন দেশে চালু করতে পারেনি বিজেপি৷ যার ফলে এবারের নির্বাচনে বিজেপির কাছে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে মতুয়ারা, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *