কলকাতা: বেকারত্ব ইস্যু তুলে রাজ্যকে একহাত নিল বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, রাজ্যে কত বেকার রয়েছে তা সরকার জানেই না। তাই রাজ্যে বিভিন্ন মেলা হলেও কোনওদিন জব ফেয়ার হয়নি। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তোলেন তিনি।
এদিন বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শমীক ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি বলেন, স্রেফ কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধিতা করতেই এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বদলে তৈরি করেন জব ব্যাংক। ফলে বাংলায় এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের কার্ডের কেনও মূল্য নেই। অথচ বেকার যুবক যুবতিরা এ বিষয়ে কিছুই জানে না। তারা আজও ওই কার্ডের ভরসায় চাকরির আশা করে। রাজ্য সরকার শুধুমাত্র কেন্দ্র বিরোধিতা করতে চায়। তাই কেন্দ্রের প্রকল্প রাজ্যে চালু করা হয় না। কেন্দ্রীয় সরকার বেকার যুবক-যুবতীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রকল্প এনেছে। নিখরচায় বেসরকারি সংস্থার কাছেও যাতে শিক্ষিত যুবক-যুবতীর বয়োডেটা পৌঁছে যায়, সেই ব্যবস্থাও করেছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যে সেক্ষেত্রেও কেন্দ্রকে সাহায্য করেনি।
রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে জব ফেয়ারের কথাও টেনে আনেন শমীকবাবু। বলেন, দেশের প্রায় সব রাজ্যেই জব ফেয়ার হয়। সরকার যখন বুঝতে পারে যে তারা চাকরি দিতে পারবেন না, তখন এই মেলার আয়োজন করা হয়। বিহারেও এই মেলা হয়। কিন্তু বাংলায় হয় না। বাংলায় কোনও শিল্প মেলা বা কর্মসংস্থান মেলা হয় না বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার জানেই না এই রাজ্যে কতজন বেকার রয়েছে। এক লক্ষ বেকার যুবক ও যুবতীকে যুবশ্রী ভাতা দেওয়া হয়। অথচ তার জন্য ৩৫ লক্ষ বেকার যুবক যুবতী আবেদন জানিয়ে বসে রয়েছেন। কিন্তু সরকার তাঁদের সাহায্য করে না। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অর্মত্য সেন ইস্যুতেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ‘ছায়াযুদ্ধ’ চালাতে চাইছেন। এ বিষয়ে বিজেপির কিছু বলার নেই। বিষয়টি বিশ্বভারতী, অমর্ত্য সেন ও মুখ্যমন্ত্রীর বিষয় বলে এড়িয়ে যান তিনি।