লজ্জা করে ‘গোলি মারো’ বলতে, এটা কলকাতা, দিল্লি নয় ভাই! হুঁশিয়ারি মমতার

লজ্জা করে ‘গোলি মারো’ বলতে, এটা কলকাতা, দিল্লি নয় ভাই! হুঁশিয়ারি মমতার

কলকাতা: পয়লা মার্চ শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভায় যোগ দেওয়ার পথেই উঠেছিল 'গোলি মারো' স্লোগান। এই অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন বিজেপি কর্মীকে। সোমবার সেই প্রসঙ্গ টেনে গেরুয়া শিবিরকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি সাফ জানান, 'এটা দিল্লি নয়, এটা বাংলা'। এই রাজ্যে এরকম কোনও অন্যায় বরদাস্ত করবেন না তিনি।

সোমবার তৃণমূল সুপ্রিমো নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে একের পর এক তোপ দাগেন কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। দিল্লি কাণ্ডের তীব্র সমালোচনা যেমন করেন, তেমনই কলকাতার রাস্তায় 'গোলি মারো' স্লোগানকে কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর কথায়, 'কালকে স্লোগান দিয়েছেন বিজেপি-র সভায়। দিল্লির ভাষায়। বলতেও আমার লজ্জা করে, 'গোলি মারো'। কে, কাকে গুলি মারবে? 'গোলি মারো' যাঁরা বলেছেন, তাঁদের ভাষাটা অন্যায়, ভাষাটা প্ররোচনামূলক, ভাষাটা দানবিক, ভাষাটা বেআইনী।' এর আগে এই একই স্লোগান শোনা গিয়েছিল দিল্লিকাণ্ডে।

তাই কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় তিনি জানান, 'এটা কলকাতা। এটা দিল্লি নয় ভাই। এটা দিল্লি নয়, এটা বাংলা। বুক পেতে রক্ত দেবে বাংলা। কিন্তু 'গোলি মেরে গদ্দারকো উড়া দো', কে গদ্দার? তাঁকে জানতে হবে কে গদ্দার? কারা গদ্দার, তা মানুষ ঠিক করবে। আপনারা ঠিক করবার কে?' এমনকী, তিনি যে অন্যায়কারীদের ছাড়বেন না, সে কথাও ফুটে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। ইতিমধ্যে নিউটাউন থানায় মামলা রুজু হওয়ার প্রেক্ষিতে সোমবার ভোররাতেই তিনজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধেও আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, 'ছেড়ে কথা বলা যাবে না। একজন অন্যায়কারীকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, পাঁচটা অন্যায়কারী বাড়বে।'

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভা ছিল রবিবারের কলকাতায়। সেখানেই আসার পথে বিজেপি কর্মীদের মুখে শোনা গিয়েছিল 'গোলি মারো' স্লোগান। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অনেকেই। তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেস, সিপিএম-ও সমালোচনা করেছেন এই ঘটনার। যদিও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − nine =