বারাসত: দার্জিলিংয়ের জঙ্গলে অপারেশনে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন ২৬ বছরের তরতাজা পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিক৷ তাঁর জীবনবিমার টাকার ভাগ নিয়ে পারিবারিক সমঝোতা না হওয়ায় অর্ধেক টাকা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্ত্রী বিউটি মালিক৷ অবশেষে এক বছর পর সেই আইনি লড়াই থামতে চলেছে৷
বুধবার বারাসত জেলা আদালতে বিউটি মালিক ও সৌমেনবাবু দু’জনেই হাজির হয়েছিলেন। সৌমেনবাবু আদালতকে জানান, জীবনবিমার অর্ধেক টাকা দিতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তার ভিত্তিতে জীবনবিমার কমবেশি সাড়ে ১১ লক্ষ টাকার অর্ধেক ভাগ পাবেন অমিতাভর স্ত্রী বিউটিদেবী এবং বাকি অর্ধেক পাবেন অমিতাভর বাবা সৌমেনবাবু। রাজ্য সরকার ‘শহিদের’ স্ত্রী বিউটি মালিককে বারাসতে পুলিশ সুপারের অফিসে চাকরি দিয়েছে। সৌমেনবাবুর পরিবারকে কিছুটা হলেও আর্থিক সহায়তার জন্য বছরখানেক আগে অমিতাভর ভাই অরুণাভকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শিক্ষাদপ্তরে অস্থায়ী কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সরকার৷ চলতি জানুয়ারি মাসে অরুণাভকে সল্টলেকের করুণাময়ীতে ওয়েস্টবেঙ্গল বোর্ড অব প্রাইমারি এডুকেশন দপ্তরে স্থায়ী চাকরি দিয়েছে সরকার৷