নীল বাড়ি দখলে নিজের হাতেই প্রার্থী খুঁজছেন অমিত শাহ

নীল বাড়ি দখলে নিজের হাতেই প্রার্থী খুঁজছেন অমিত শাহ

কলকাতা: বিজেপি’র লক্ষ্য এখন ‘মিশন বাংলা’৷ বারবার বঙ্গে এসে দলীয় কর্মীদের চাগিয়ে গিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ সংগঠনকে আরও মজবুত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলীয় নেতারা৷ তবে নীল বাড়ি দখলের এই লড়াইয়ের রাশ নিজের হাতেই রাখতে চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ সুদূর পাহাড় থেকে সাগর-বাংলার প্রতিটি বিধানসভা আসনের জন্য প্রার্থী বাছবেন তিনি নিজের হাতে৷ বঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পঞ্চপান্ডবের রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করবেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই শুভেন্দুর ৩ দফতর! বিচ্ছন্ন হচ্ছে দলীয় যোগাযোগ!

গত লোকসভা নির্বাচনেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ মিলেছিল অভূতপূর্ব সাফল্য৷ ১৮টি আসন এসেছিল বিজেপি’র ঝুলিতে৷ সাফল্যের এই সমীকরণ অনুসরণ করেই বিধানসভার ভোটযুদ্ধে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির৷ দলের অন্দরে উপদলীয় রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে বিজেপি’র লাগাম শক্ত হাতে ধরেছেন অমিত শাহ৷ প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সতর্ক তিনি৷ বিজেপি’র অন্তর্কলহ যাতে নীল বাড়ি দখলের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তা সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহ৷ রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি যাঁচাই করে নিতে বঙ্গে আনা হয়েছে তাঁর পাঁচজন আস্থাভাজন নেতাকে৷ বাংলাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করে দায়িত্ব সঁপা হয়েছে তাঁদের কাঁধে৷ এই পাঁচ নেতার পাঠানো রিপোর্টের ভিত্ততেই প্রার্থী বাছাই করবেন অমিত শাহ৷ 

অন্যদিকে হতে পারে কিছু সাংগঠনিক রদবদল৷ আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা৷ তাঁর উপস্থিতিতেই রাজ্য থেকে জেলা স্তরে সাংগঠনিক রদবদল ঘটতে পারে বলে সূত্রের খবর৷ বঙ্গ বিজেপি’র অন্দরে দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়, এই দুই শিবিরের বিরোধ কারও অজানা নয়৷ এই বিরোধে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় দিল্লি৷ ভোটের আগে এই বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব৷ বাংলা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাই তড়িঘড়ি ভিন রাজ্য থেকে ডেকে আনা হয়েছ পাঁচ আস্থাভাজনকে৷ মেদিনীপুর জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুনীল দেওধরকে৷ কলকাতা জোনের দায়িত্বে রয়েছেন দুষ্যন্ত গৌতম৷ নবদ্বীপ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ তাওড়েকে। রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্বে রয়েছেন বিনোদ সোনকর। উত্তরবঙ্গ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সম্পাদক হরিশ দ্বিবেদীকে৷ ইতিমধ্যেই চারটি জোনে নেতারা এসে বৈঠক করেছেন৷ তাঁরা তাঁদের রিপোর্ট তৈরি করে পাঠিয়ে দিয়েছেন দিল্লিতে৷ ‘গ্রাউন্ড রিয়ালিটি’র উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে৷ তবে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে রাজ্যে আসতে পারেননি হরিশ দ্বিবেদী৷ তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বিহারের সহকারী পর্যবেক্ষক রত্নাকরকে৷ 

আরও পড়ুন- ফের ভাঙন তৃণমূলে! বিজেপিতে নাম লিখিয়ে ‘বিদ্রোহ’ মিহির গোস্বামীর!

অন্যদিকে দলের ‘আস্থাভাজন’-দের পরামর্শে আসন বণ্টনের দায়িত্ব বরাবরই নিজের হাতে সামলান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপি শিবিরেও এবার প্রার্থী হতে চাওয়ার তালিকা বেশ দীর্ঘ৷ তবে স্থানীয় ইস্যু, চাহিদা, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিচার করেই প্রার্থী দেওয়া হবে৷ কোনও খামতি রাখতে চান না অমিত শাহ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 6 =