‘সাত দফাতে ইলেকশন, তাও কেন প্রহসন’, ভোট ভোটকর্মীদের বিদ্রোহ

আলিপুর: ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ৷ ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে সুনিশ্চিত নিরাপত্তার দাবিতে এদিন জেলাশাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ ডেপুটেশনের আগে আলিপুর গোপাল নগর মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল আলিপুর জেলা শাসকের দপ্তরে আসে। মিছিলে স্লোগান ওঠে, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী পাব না, ভোট নিতে যাব

‘সাত দফাতে ইলেকশন, তাও কেন প্রহসন’, ভোট ভোটকর্মীদের বিদ্রোহ

আলিপুর: ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ৷ ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে সুনিশ্চিত নিরাপত্তার দাবিতে এদিন  জেলাশাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷

ডেপুটেশনের আগে আলিপুর গোপাল নগর মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল আলিপুর জেলা শাসকের দপ্তরে আসে। মিছিলে স্লোগান ওঠে, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী পাব না, ভোট নিতে যাব না’’, ‘‘কাকদ্বীপ থেকে কুচবিহার আর নয় কেউ রাজকুমার’’, “সাত দফাতে ইলেকশন, তাও কেন প্রহসন’। জেলা প্রশাসনিক চত্ত্বরে নিরাপত্তার দাবিতে এই মিছিলকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ থেকে সরকারি কর্মচারী সকলের মধ্যে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। মিছিলের শেষে প্রায় ৫০০০ ভোটকর্মীর স্বাক্ষর সম্বলিত দাবি পত্র নিয়ে ঐক্যমঞ্চের এক প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে যান। জেলা শাসক নমিনেশন এর কাজে ব্যস্ত থাকায় ডেপুটেশন গ্রহণ করেন এডিএম শ্যামল কুমার মণ্ডল।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন অনিমেষ হালদার, তমাল মণ্জল, পুষ্পেন্দু মাইতি,সুমনা ভট্টাচার্য ,প্রবাল চক্রবর্তী, উৎপল মণ্ডল ও প্রসেনজিৎ হালদার।

‘সাত দফাতে ইলেকশন, তাও কেন প্রহসন’, ভোট ভোটকর্মীদের বিদ্রোহএডিএম জানান, যেহেতু এই জেলায় শেষ দফা ভোট, তাই এখনই শতাংশের সংখ্যাটা এখনই তিনি বলতে পারবেন না৷ তবে, নিরাপত্তার সুনিশ্চিত থাকবে বলেও জানান তিনি৷ জেলা শাসককে ডেপুটেশন দিয়ে বেরোনোর পর মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অনিমেষ হালদার বলেন, “নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করছে, দেশের সবচেয়ে বড় উৎসব হল এবারের লোকসভা সাধারণ নির্বাচন। কিন্তু সেই উৎসবের যে মূল পুরোহিত অর্থাৎ ভোটকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই নিরাপত্তার ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে আজ জেলা শাসকের কাছে এসেছিলাম। আমরা তাঁকে পরিস্কার জানিয়েছি, ডিসিআরসিতে গিয়ে যদি কেন্দ্রীয়বাহিনী না পাই কোন ভোটকর্মী কিন্তু ভোট নিতে হবে না। কোন দল জিতল বা কোন দল হারল, তা আমাদের দেখার বিষয় না। গণতন্ত্রের এই উৎসব যাতে সুস্থ ও শান্তির পরিবেশে উদযাপিত হয় সেটাই আমরা চাই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =