কলকাতায় অ্যাম্বুলেন্সের জন্য গ্রিন চ্যানেলের ভাবনা। নবান্ন সূত্রে খবর, সাইরেন না বাজিয়ে দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নবান্ন থেকে বিষয়টি সম্পর্কে একটি ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে , সহযোগিতা করবে পরিবহন দফতর এবং কলকাতা পুলিশ। এই বিষয় নিয়ে একটি বৈঠকও হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই থাকবে একটি বিশেষ সফটওয়্যার। নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে এই অ্যাম্বুলেন্স বুক করতে হবে।
অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে থাকা সফটওয়্যার যুক্ত করবে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে। নির্দিষ্ট রাস্তা বলে দেবে কলকাতা পুলিশ। এভাবেই তৈরি হবে গ্রিন চ্যানেল। ইদানীং কালে পুলিশ গ্রিন করিডর করে বেশ কয়েকজন রোগীকে হাসপাতালে দ্রুত পৌঁছতে সাহায্য করেছে। এর ফলে প্রাণ রক্ষা হয়েছে অনেক মুমূর্ষু রোগী। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে কাজে লেগেছে গ্রিন করিডর। নবান্নের শীর্ষকর্তাদের বক্তব্য, যানজটে অ্যাম্বুল্যান্স যাতে কোনওভাবেই আটকে না থাকে তা সুনিশ্চত করার নির্দেশ কয়েক মাস আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই চার দফতরের কর্তারা একযোগে ঠিক করেন অ্যাপ তৈরি করা হবে। সেই কাজ শেষ। এবার তা কাজে লাগানো হবে। যেটা নিঃসন্দেহে কলকাতা তথা রাজ্যের জন্য নতুন বছরে এক বড় পাওনা।নতুন বছরের শুরুতেই এই উদ্যোগ কার্যকরী হবে বলে জানিয়েছেন নবান্নের আধিকারিকরা।
নতুন এই অ্যাপ থাকবে কলকাতা পুলিশ-সহ চার দফতরেই। প্রথম দফায় কলকাতার কয়েকটি সরকারি হাসপাতালকে বেছে নেওয়া হবে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ক্রমশ তা গোটা রাজ্যে চালু করা হবে। বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়াটি হবে অ্যাপের নজরদারিতে। নতুন অ্যাপ থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট অ্যাম্বুল্যান্স চালকের ফোনে। অ্যাম্বুল্যান্স রাস্তায় বেরোলেই গ্রিন করিডর চালু করবে পুলিশ। সেই রাস্তায় ওই সময়ে অন্যান্য যানবাহনেরও গতিবিধি ঠিক করা যাবে। অ্যাম্বুল্যান্স রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হুটার বাজানোর দরকারও পড়বে না। সহজেই পৌঁছানো যাবে হাসপাতালে।