স্কুল চালাতে না পারলে আদানিকে বেচে দিন! কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা বিচারপতির

স্কুল চালাতে না পারলে আদানিকে বেচে দিন! কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা বিচারপতির

কলকাতা: স্কুলের শিক্ষকদেরই বেতন দিচ্ছে না তারা। এই অভিযোগ আসতেই কলকাতা হাইকোর্টের রোষের মুখে পড়েছে ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই ইস্যুতে ব্যাপক ক্ষোভ জাহির করে মন্তব্য করেছেন, গরিবদের ওপর অত্যাচার চলছে। একই সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করে তাঁর বক্তব্য, স্কুল চালাতে না পারলে আদানিকে বেচে দিন। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বেতন না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডের বিরুদ্ধে। 

এদিন এই মামলার শুনানিতে সংস্থার আইনজীবী দাবি করেছেন যারা অভিযোগ করছেন তারা তাদের কর্মী নন। কিন্তু আদালত সেই দাবি মানতে চায়নি। বরং বিচারপতির বক্তব্য, শিক্ষকদের চোখের জল ফেলবেন না। টাকা মিটিয়ে চাইলে স্কুল বন্ধ করে দিন। এরপর তিনি ক্ষোভের সঙ্গে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে। তাঁর প্রশ্ন, মামলা করতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে আর বেতন দিতে পারছে না স্কুল? বিচারপতির গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও বক্তব্য, স্কুল পরিচালনায় অব্যবস্থা দেখাচ্ছে ইস্টার্ন কোলফিল্ড। দেশে স্বাধীনতার অমৃত মহোত্‍সব পালিত হচ্ছে আর শিক্ষকদের এই অবস্থা। 

আসলে ৪৪ জন শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ করে যে, ইচ্ছে মতো বেতন দিচ্ছে ইসিএল। স্কুল বন্ধ করার চক্রান্ত করছে তারা। মামলাকারীদের দাবি, ইস্টার্ন কোলফিল্ডের অধীনে ঝাড়খণ্ডে ৯ টি ও বাংলায় ৭ টি স্কুল আছে। শিক্ষকরা বেতন পান যথাক্রমে ৭ হাজার, সাড়ে ৫ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। ৭-৮ বছর পর্যন্ত বাকি রয়েছে শিক্ষকদের বেতন। 

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এক্ষেত্রে নির্দেশ দিয়েছেন, ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চার লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। সেই টাকা দিয়ে আগামী ৩ মাস সব শিক্ষককে মাসিক ৫ হাজার টাকা করে বেতন দিতে হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − fifteen =