জলপাইগুড়ি: ভোট পঞ্চমীতে নিজের কেন্দ্রে ভোট দিতে যান তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। বুথে ভোট দিতে উপস্থিত হতে তার সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক শুরু হয়ে যায়। ভোট কর্মীরা একে একে সাংসদ তথা অভিনেত্রীর সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করতে থাকেন এবং বুথ থেকে বেরিয়ে আসেন। এই ঘটনায় রীতিমতো চমকে যান মিমি। তাই রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনারা চাকরি যাবে আর আমারও!”
এদিন জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া জুনিয়র বেসিক স্কুলের ১৭/১৫৫ নম্বর বুথে ভোট দিতে যাননি কংগ্রেসের যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সেখানে তিনি পৌছতেই ভোট কর্মীরা আচমকা তাকে ঘিরে ধরে সেলফি তোলার চেষ্টা করে। কয়েকজনের সঙ্গে সেলফি তোলেন আমি কিন্তু তারপরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “কী করছেন? আমারও চাকরী যাবে আর আপনারও!” নির্বাচন কমিশনের নিয়ম রয়েছে যে ভোট কেন্দ্রে খবর আদান প্রদানের জন্য মোবাইল ব্যবহার করা গেলেও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সেই প্রেক্ষিতে ভোট কর্মীরা এইভাবে সেল্ফি তুললে সেটি নির্বাচন কমিশনের নিয়মবিরুদ্ধ কাজ হবে। আখেরে সেই নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছেন ওই বুথের ভোট কর্মীরা। এই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট ভোট কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও নিয়ম ভঙ্গ করে কিভাবে ওই ভোট কর্মীরা এই কাজ করলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযুক্ত ভোট কর্মীকে অপসারিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে ভোট দান করেছিল এমন সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, মাথা ঠান্ডা রেখে ভোট দিতে হবে, বিরোধীদের কথায় উত্যক্ত হলে চলবে না।