বোমা ফাটলেই প্রাণের সঞ্চার! শুশুনিয়ায় ঘটে গেল অবাক কাণ্ড

বাঁকুড়া: দিনের আলোয় সরকারী অফিসে চলছে বোমা বাঁধার কাজ৷ তাও একটা দুটো নয়৷ হাজারটা বোমা৷ শুশুনিয়া পাহাড়ে ঘটল এমনই ঘটনা। কিন্তু এই বোমাবাজিতে সবাই বেজায়…

বাঁকুড়া: দিনের আলোয় সরকারী অফিসে চলছে বোমা বাঁধার কাজ৷ তাও একটা দুটো নয়৷ হাজারটা বোমা৷ শুশুনিয়া পাহাড়ে ঘটল এমনই ঘটনা। কিন্তু এই বোমাবাজিতে সবাই বেজায় খুশি। কারণ আসলে এই বোমা যে সে বোমা নয়, বিশেষ এই বোমার বিস্ফোরণে পাথরেও প্রাণের সঞ্চার হয়। এবার আসি আসল ঘটনায়৷

বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের পাথুরে ন্যাড়া জমিতে সবুজ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এখানে ২০২৩ সালে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে বীজ বোমা ফেলা হয়েছিল। সেই বিস্ফোরণের ভিডিও ভাইরালও হয় সামাজিক মাধ্যমে। তবে এই বীজ বোমা আসলে কী? জানা গিয়েছে সফল হয়েছে পরীক্ষার সেই প্রথম ধাপ, গজিয়েছে গাছপালা। পাথুরে ন্যাড়া পাহাড় হয়েছে সবুজ। তাই এবারও সেই কাজই করা হল৷

ছাতনা বন দফতরের মস্তিষ্কপ্রসূত এই বীজ বোমা গুরুত্ব পাচ্ছে গোটা দেশে। শুকনো গোবরকে মাটি এবং জল দিয়ে ভিজিয়ে মণ্ড বানিয়ে তাতে জৈব সার মিশিয়ে বিভিন্ন উদ্ভিদের বীজ লাগিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। তারপর অঙ্কুরিত হলেই সেই বল আকারে বীজ বোমা যে কোনও বন্ধা জমিতে ছড়িয়ে দিলেই প্রাণ সঞ্চার সম্ভব। সম্প্রতি শুশুনিয়া পাহাড়ের পাথুড়ে ন্যাড়া অংশে বীজ বোমা ছড়ায় ছাতনা বন দফতর। ইতিমধ্যেই অঙ্কুর দেখা দিয়েছে সেই বন্ধ্যা পাথুরে অঞ্চলে। যে গাছের শিকড় মাটিতে তাড়াতাড়ি ধরতে পারবে সেই ধরনের বীজ ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন বট এবং অশ্বত্থ। এবার কিসের চারা ছড়ানো হল?

একটি মহিরুহ একটি বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ করে। সাপ থেকে শুরু করে পোকামাকড় কিংবা পাখি, সবই এই গাছগুলিকে কেন্দ্র করে থাকতে পারবে। তাই এমন উদ্যোগ।