৯২% বুথে নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও কেন বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের? জবাব ঐক্যমঞ্চের

কলকাতা: প্রথম দুই দফার অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃতীয় দফায় ভোটের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন৷ ৯২ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ কিন্তু, প্রায় সব বুথে নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পরও কেন ভোটকর্মীদের বিক্ষোভ? নিরাপত্তার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঐক্যমঞ্চের দিকে ধেয়ে আসা প্রশ্নের জবাব দিলেন ভোটকর্মীরা৷

৯২% বুথে নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও কেন বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের? জবাব ঐক্যমঞ্চের

কলকাতা: প্রথম দুই দফার অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃতীয় দফায় ভোটের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন৷ ৯২ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ কিন্তু, প্রায় সব বুথে নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পরও কেন ভোটকর্মীদের বিক্ষোভ? নিরাপত্তার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঐক্যমঞ্চের দিকে ধেয়ে আসা প্রশ্নের জবাব দিলেন ভোটকর্মীরা৷

এই প্রসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘রায়গঞ্জ লোকসভা নির্বাচনে তো ৯০% কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তার পরেও কেন বিভিন্ন বুথে ভয়ঙ্কর গন্ডগোল হল, যেখানে রাজ্য পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল? তাই আমরা ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ সুনিশ্চিত নিরাপত্তা দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার নির্বাচনে কত শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যতক্ষণ না প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারা নির্বাচন সম্পন্ন করার সুনিশ্চিত প্রতিশ্রুতি নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে। নির্বাচন কমিশন যদি এখনই আমাদের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়ে দেন, আগামী পর্বের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ সুনিশ্চিত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন তাহলে কথা দিচ্ছি আগামিকাল থেকে আমরা সর্বত্র বিক্ষোভ আন্দোলন তুলে নেব৷’’

একই সঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘নদীয়ার নোডাল অফিসার অর্ণব রায়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় আজও সঠিক তদন্ত করে কেন তাঁকে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না, তার জবাব দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও কেন নির্বিকার নির্বাচন কমিশন? অবিলম্বে অর্ণব রায়ের সন্ধান না পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

তৃতীয় দফার নির্বাচনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবিতে, কাকদ্বীপ, মুর্শিদাবাদ, খড়গপুর ও চেতলায় বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীদের একাংশ৷ প্রশিক্ষণ বয়কট করে নিরাপত্তার দাবিতে সবর হন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + seventeen =