কলকাতা: নারদকাণ্ডের ফয়সলা এখনও হয়নি৷ সিবিআই ও ইডি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে৷ নারদের পর এবার ফের গোপন ক্যামেরার ফাঁস তৃণমূলের দুই মন্ত্রীদের ‘টাকা’ নেওয়ার ঘটনা৷ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের হাত ধরে সদ্য উদ্বোধন হওয়া একটি বৈদ্যুতিন চ্যালেনের স্টিং অপারেশনে প্রশ্নের মুখে তৃণমূলের দুই মন্ত্রীর ভূমিকা৷ স্কুলে বেসরকারি সংস্থাকে ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে ‘টাকা’ নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি৷
ওই বৈদ্যুতিন চ্যালেনটি তাদের স্টিং অপারেশনে ভিডিও ফুটেজে প্রকাশ করে দাবি করেছে, স্কুলে বিশেষ সুবিধা করে দেওয়ার জন্য ‘টাকা’ দাবি করেছেন তৃণমূলের দুই মন্ত্রী৷ শনিবার ‘ভারত বাংলা’ নামের একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে৷ শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ যদিও, ওই সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত হওয়া ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল ডট কম৷
ওই চ্যানেলের দাবি, তাদের সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে রাজ্যের ২ মন্ত্রীর ‘টাকা’ নেওয়া প্রসঙ্গে কথোপকথন করেছেন৷ ‘টাকা’ নেওয়ার বিষয়টি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে৷ নয়া এই ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন দপ্তরের মন্ত্রী তাপস রায়৷
শনিবার রাজ্যের দুই মন্ত্রীর ভিডিও প্রকাশ করে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন সাংবাদিক উমেশ কুমার৷ সাংবাদিক বৈঠক করে উমেশ কুমার জানিয়েছেন, যে ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে, সেটা পার্ট ওয়ান৷ এমন আরও পাঁচটি ফুটেজ আছে তাঁদের হাতে৷ তা ধাপে ধাপে প্রকাশ করার দাবিও জানানো হয়েছে৷ তাঁর বাবি, এরকম প্রভাবশালী মোট ১৩ জনকে ভিডিও ফুটেজে টাকা দেওয়ার ফুটেজও তাঁরা প্রকাশ করবেন৷ ওই সাংবাদিকের আরও দাবি, ফুটেজ প্রকাশ করার আগে তাঁরা সিবিআইয়ের কাছে সেই ফুটেজ জমা করিয়েছেন৷ সিবিআইয়ের দিল্লির দপ্তর তা গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেছেন ওই সাংবাদিকের৷ ওই সাংবাদিক ওই সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছেন, রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় অন্য এক জনের মারফত ১লক্ষ টাকা নিয়েছেন৷ দাবি করা হচ্ছে, অগ্রিম বাবদ তাপস রায়কে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে৷
বিজেপির দেখানো ফুটেজ-
ওই সাংবাদিকের দাবি, ভারত টেকনো নামে একটি সংস্থার হয়ে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর কাছে যাওয়া হয়৷ ওই সংস্থার মাধ্যমে স্কুলে রোবোটিক সায়েন্সের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার শর্ত হিসাবে মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ছাত্র পিছু কমিশনের টাকা দেওয়া হবে বলেও দাবি করা হয় বলে জানিয়েছেন ওই সাংবাদিক৷ সেই শর্তে অগ্রিম ‘টাকা’ দেওয়া হয় বলে দাবি ওই সংবাদমাধ্যমের৷ এই ভাবে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাও ‘টাকা’, ‘উপহার’ নিয়েছেন বলে অভিযোগ৷ প্রকাশিত হয়েছে সেই ছবি৷ পরে ওই সংবাদমাধ্যমে মন্ত্রী তাপস রায় জানিয়েছেন, ভিডিওতে যে অডিও ফুটেজ দেখানো হচ্ছে, ওটা তাঁর কণ্ঠস্বর নয়৷ ‘টাকা’ নেওয়ার ঘটনা প্রমাণ হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন৷