শুভেন্দুর গোপন বৈঠকে ১২ ‘বিদ্রোহী’ নেতা! মমতার ফোন এড়িয়ে বৈঠকে জিতেন্দ্র!

রাজ্যের একাধিক জেলার একাধিক বিধায়ক এবং কাউন্সিলার ছিলেন এই গোপন বৈঠকে!

 

কাঁকসা: তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে গোপন বৈঠক, সেই বৈঠকে উপস্থিত বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা শুভেন্দু অধিকারী সহ, আসানসোলের পুরো প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে শুধু এই দুজন ‘বিদ্রোহী’ নেতা নন, রাজ্যের একাধিক জেলার একাধিক বিধায়ক এবং কাউন্সিলার ছিলেন এই গোপন বৈঠকে! সবথেকে আশ্চর্যের ব্যাপার, জিতেন্দ্র তিওয়ারি সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফোনের পরেও পূর্ব বর্ধমানের বিক্ষোভ তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলার বিভিন্ন তৃণমূল বিধায়ক এবং কাউন্সিলার পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে এসে জড়ো হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন গুসকরার বিদায়ী কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়, এছাড়া পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুরুল হাসান, দুর্গাপুরের ৪ নং বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্র শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, এছাড়াও এই বৈঠকে রয়েছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান দীপ্তাংশু চৌধুরী। সুতরাং এক কথায় বলা যায়, এদিন এখানে এসে জড়ো হয়ে যারা গোপন বৈঠক করছেন তাদের প্রত্যেকের ক্ষোভ রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। 

সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় অন্তত ১২ জন বিদ্রোহী নেতা তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন৷ তার মধ্যে অন্যতম জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক চিঠি দিয়েছিলেন আসানসোলের পুরো প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি; জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা দেওয়া হচ্ছে না আসানসোলকে। সেই চিঠির পর স্বাভাবিকভাবেই চরম অস্বস্তিতে পড়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস, কিন্তু এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বয়ং ফোন করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। দেখা গেল সেই ফোনের পরেও বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের এবং সাংসদদের এই গোপন বৈঠকে যোগ দিয়েছেন জিতেন্দ্র। যা স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক আরো বাড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভবনে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুনীল মন্ডলের বাড়িতে যান শুভেন্দু অধিকারী। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা দেওয়ার পর হয়তো আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বড় সংখ্যায় তৃণমূল সদস্যরা ইস্তফা দিতে পারেন! যদি এমনটা হয় তাহলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপকভাবে চাপে পড়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *