কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাক্সিন কাণ্ডে দায়ের হল দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলা। দেবাঞ্জন দেব এবং রায়গঞ্জের হাসপাতাল থেকে ২০ লক্ষ টাকার কোভিড টেস্ট কিট চুরি যাওয়ার ঘটনার তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী তাপস মাইতি। স্বাধীন সংস্থা দিয়ে তদন্ত করতে হবে বলে দাবি জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কসবায় যাঁরা ওই ভুয়ো টিকা কেন্দ্র থেকে ভ্যাক্সিন নিয়েছিলেন তাঁদের মেডিক্যাল চেক আপ করাতে হবে। এছাড়াও রাজ্যে জরুরি ওষুধ বন্টন ও ব্যবহারের জন্য ফৌজদারি তদন্তের দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- হু হু করে বাড়ছে ডিমের দাম, মানুষ খাবে কী? মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
প্রথম থেকেই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছিল বিজেপি৷ অবশেষে ২৫ জুন কলকাতা হাইকোর্টে এ বিষয়ে প্রথম জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়৷ এই মামলাটি করেন আইনজীবী সন্দীপন দাস৷ চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে৷ এই জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছিল, যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার টিকা দিচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে৷ সোমবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দায়ের হল দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলা৷
আরও পড়ুন- বাড়তে চলেছে বাসের ভাড়া! ন্যূনতম ভাড়া কত করার প্রস্তাব?
এদিকে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের মামলা যত এগোচ্ছে, ততই প্রকাশ্যে আসছে নতুন নতুন তথ্য৷ জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জনের প্রতারণার জাল থেকে বাদ যায়নি তাঁর বোনের বান্ধবীও৷ তাঁকেও ভুয়ো টিকা দিয়েছিল দেবাঞ্চন৷ টিকার জন্য সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল সে৷ সারা না মেলায় কিনেছিল ভুয়ো ভ্যাকসিন৷ কেএমসি’র ডেপুটি ম্যানেজারের নামে ভুয়ো ই-মেল খুলেছিল দেবাঞ্জন৷ অন্যদিকে তাঁকে জেরা করে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে কেএমসি, পিডব্লুডি সহ একাধিক সরকারি সংস্থার প্রচুর জাল স্ট্যাম্প উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ পশ্চিমবঙ্গ ফিনকর্প থেকে যেত দেবাঞ্জনের অফিস কর্মীদের বেতন৷ এখনও পর্যন্ত দেবাঞ্জনের ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে৷ ওষুধ বিক্রেতার সঙ্গেও প্রতারণা করেছিল দেবাঞ্জন৷