কলকাতা: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ ওঠায় ভাঙড়, মিনাখা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পুনরায় মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া এবং যারা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে। এই মামলার শুনানি আজই।
নির্বাচন কমিশন এই মামলার প্রেক্ষিতে জানিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে মনোনয়ন জমা নিতে গেলে তার স্ক্রুটিনি করতে গেলে আরও সময় লাগবে, যা সম্ভব নয়। তাই এই নির্দেশ খারিজ করা হোক। জানা গিয়েছে, এই মামলা গ্রহণ করেছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আসলে পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনার কথা সামনে এসেছে। বিরোধীরা তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে দাবি করেছে, অনেক জায়গায় তারা মনোনয়ন জমা করতেই পারেনি। শাসক দলের অত্যাচারে অনেক বিরোধী প্রার্থী প্রাণভয়ে মনোনয়ন দিতে পারেননি। প্রায় ২০ হাজারের বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাই কমিশনের ওপর বিরাট চাপ আছেই।
এমনিতেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে ২০ হাজার ৫৮০ জন কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন? সেই নিয়ে রিপোর্ট চাওয়াও হয়েছিল তাদের থেকে। নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহাই। একই সঙ্গে যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তাঁদের বক্তব্য শুনতে চেয়েছিল আদালত।