কলকাতা: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রথমে ২২ কোম্পানি এবং পরে আদালতের কড়া নির্দেশ মেনে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই আবহেই কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পেল কিনা তা আগামী ২৮ জুন জানাতে হবে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এসে রিপোর্ট দিতে হবে তাদের।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ইস্যুতে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। তারপরই তারা ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরে আবেদন জানায়। কিন্তু আপাতত ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হবে বলে কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এখনও পর্যন্ত নানা জেলায় অশান্তির খবর মিলছে। তাই কেন একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী পাঠাচ্ছে না অমিত শাহের মন্ত্রক, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, ২৮ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচন কমিশন পেয়েছে কিনা। সেদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এছাড়া কলকাতা হাইকোর্ট এমনও জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ ঠিকঠাক মানছে কিনা তা জানিয়ে হলফনামা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৩১৫ কোম্পানি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্যও আবেদন জানানো হয়েছে। এদিকে আদালতের বক্তব্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যদি মনে হয় এই বাহিনীও যথেষ্ট নয় তাহলে তারা যেন আরও বাহিনী চাইতে দেরি না করে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ!নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান,ফুলের মালা,মিষ্টি পাঠিয়ে হুমকি!” width=”853″>
ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট একাধিক দফায় করানোর পক্ষে সওয়াল করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কোনও সরকারই একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি দিতে পারবে না। গত বার পাঁচ দফায় ভোট হয়েছিল। এ বারও একাধিক দফায় ভোট করা হোক। আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, বাহিনীর সংখ্যাটা বিষয় নয়। সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোটটাই জরুরি৷