কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটছে। ভোটের আর এক সপ্তাহ বাকি থাকতেও ইতিমধ্যেই আরও দু-তিন জায়গায় নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রের কাছে দাবি করা সম্পূর্ণ সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসবে কিনা তা নিয়েই সংশয়। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দু’ধাপে কেন্দ্র ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে পাঠিয়েছে। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে তারা এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি। তাই বাকি বাহিনী আসবে না মেনে নিয়ে ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন এবং নবান্ন।
রবিবার সকালে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি-র সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। জানা গিয়েছে, ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশকে কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। পাশাপাশি এটাও আলোচিত হয়েছে যে, বাকি বাহিনী না এলে কী ভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হবে ভোটে। কমিশন সূত্রে খবর, এক দফায় প্রায় ৬০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার জন নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩৭ হাজার বাহিনী এসেছে। অর্থাৎ প্রতি বুথে এক জন করেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সম্ভব নয়।
আগেই জানা গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাটতি হলে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড এবং বিহার থেকে পুলিশ নিয়ে আসার পরিকল্পনা করে রেখেছে নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার। আপাতত সেই পদক্ষেপ নেওয়ার কথাই ভাবা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আরও খবর মিলেছে, বুথের ভিতরে রাজ্য পুলিশই নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখবে, বুথের বাইরে টহলদারি থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।