কলকাতা: শনিবারের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ভারপ্রাপ্ত কোঅর্ডিনেটর এবং বিএসএফের আইজি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে যা যা প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা মেনে নিয়েছে তারা। জওয়ানদের নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে অবশ্যভাবে। আসলে বিএসএফ আইজি জানিয়েছিলেন, কোনও বুথে হাফ সেকশন অর্থাৎ চার জনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। একই সঙ্গে তাঁর প্রস্তাব ছিল, রাজ্য পুলিশকেও পাহারায় থাকতে হবে বুথে। সেইসব প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন রাজি হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে জায়গায় জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। সেই প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ এবং বাকি সকলের নিরাপত্তা দিতে অন্যান্য রাজ্য থেকে আসছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তবে তাদের নিজেদেরও তো নিরাপত্তা প্রয়োজন। তাই এই বিষয়ে বিশেষভাবেই নজর দেওয়া হয়েছে। একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মূল প্রস্তাব ছিল, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি এবং দু’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে হাফ সেকশন বাহিনী অর্থাৎ ৫ জন জওয়ান থাকতেই হবে। যাদের মধ্যে সক্রিয় থাকবেন চার জন৷ কোনও কেন্দ্রে তিনটি এবং চারটি বুথ থাকলে কমপক্ষে এক সেকশন বাহিনী, পাঁচ এবং ছ’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে দেড় সেকশন বাহিনী এবং সাতটি বা তার থেকে বেশি বুথ থাকলে কমপক্ষে দু’সেকশন বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
এর পাশাপাশি ‘স্ট্রংরুম’ (যেখানে ব্যালটবাক্স এবং ইভিএম রাখা হয়)-এ ১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ৮০ জন জওয়ান সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন৷ কোঅর্ডিনেটরদের যুক্তি ছিল, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা, তাতে জওয়ানদেরও ‘প্রাণহানির আশঙ্কা’ রয়েছে। তাই এই প্রস্তাব কার্যত মানতেই হত নির্বাচন কমিশনকে।