দুটি বৈঠকেই ১৯৩ আসনের সমঝোতা চূড়ান্ত, ব্রিগেডে আসতে পারেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা

দুটি বৈঠকেই ১৯৩ আসনের সমঝোতা চূড়ান্ত, ব্রিগেডে আসতে পারেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা

783a3c4efbf79007ae1a11daebf4e692

কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দুই দলের আসন সমঝোতা নিয়ে এদিন ফের বৈঠক ছিল এবং কংগ্রেসের। বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর আসন সমঝোতা নিয়ে কথা বললেন। তাঁদের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হল, ইতিমধ্যেই অধিকাংশ আসন নিয়ে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে দুই দলের। আর ১০০ আসনের ফয়সালা বাকি। 

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ২৯৪ আসনের মধ্যে ১৯৩ আসনে দুই দলের সমঝোতা হয়েছে ইতিমধ্যে। আর ১০০ আসনে ফয়সালা হওয়া বাকি। প্রথম দফার বৈঠকে ৭৭ আসন নিয়ে রফা হয় দুই দলের। দুটি বৈঠকের মধ্যেই ১৯৩ আসনের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে গেল বাম-কংগ্রেসের। একই সঙ্গে এদিন জানানো হয়, ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের সভা আয়োজন করা হচ্ছে। সেই সভায় আসতে পারেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর সাংবাদিক বৈঠকে আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে জানান, প্রথম ধাপে ৭৭টি আসনে সমঝোতা হয়েছিল, এ দিন নতুন করে ১১৬ টি আসনের সমঝোতা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস লড়বে ৪৮ আসনে এবং বামফ্রন্ট লড়বে ৬৮ আসনে। 

বাম এবং কংগ্রেস আসন সমঝোতা বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে দুই দলের তরফে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করা হল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। একদিকে যেমন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে, এদিকে বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও আক্রমনাত্মক ভূমিকা পালন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অধীর চৌধুরী বলেন, সাম্প্রদায়িকতা, সংকীর্ণতা এবং স্বেচ্ছাচারিতার কবলে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। স্বৈরাচারীতা বাংলার মানুষের জন্য অভিশাপ, এই অভিশাপ বহন করে আসছে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, একই বৃন্তে দুটি ফুল, বিজেপি এবং ঘাস ফুল। সুজনের কথায়, সরকার ভয় পাচ্ছে বলেই সমস্ত আলোচনা বন্ধ করে দিতে চাইছে। সরকারি কর্মসূচিকে দলীয় কর্মসূচিতে রূপান্তর করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই সুজনের তোপ, বিধানসভাকে শাসকদলের ইচ্ছামত চালনা করা হচ্ছে। তাই তিনি মনে করিয়ে দেন, বিধানসভা কারুর পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *