নিজস্ব প্রতিনিধি, বালুরঘাট: গরিব মানুষের প্রকল্পের টাকা লুটেপুটে খাওয়ার অভিযোগ এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জলঘর পঞ্চায়েতে৷ সূত্রের খবর, এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ওই শিক্ষকের গোটা পরিবার টাকা তুলেছেন একশো দিনের কাজের প্রকল্পে এমনটাই অভিযোগ৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে৷ যদিও এই গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন জলঘর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা অভিযুক্ত শিক্ষক মলয় মন্ডল৷ তাঁর দাবি, গত অক্টোবর মাসে তাঁর নাম যে জবকার্ডের তালিকায় রয়েছে এই বিষয়টি জানার পরেই তিনি তাঁর নাম ওই প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েতে আবেদন করেছেন।
খোদ জলঘর পঞ্চায়েতের প্রধানের অভিযোগ, নাম কাটার জন্য সহ-সভাপতি আবেদন করলেও তার পরিবারের সদস্যরা এখনো কাজের টাকা তুলেছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, গরিব মানুষের উপার্জনের জন্য একশো দিনের কাজের প্রকল্প চালু হলেও তার ফল খাচ্ছেন কিছু সুবিধাবাদী মানুষ। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে নিজেদের নামে জবকার্ড তৈরি করেছেন অনেকেই। কাজ না করেও টাকা তোলা হয় এমন সব অ্যাকাউন্ট থেকে। সেই দুর্নীতিতে সামিল রয়েছেন জলঘরের সহ-সভাপতি ও তার পরিবার৷
জলঘরের সহ-সভাপতি মলয় মন্ডল, তার বাবা নিতাই চন্দ্র মন্ডল, মা মুক্তি মন্ডল এবং ভাই মৃণাল মন্ডলের নামে রয়েছে সরকারি এই জবকার্ড। যা দেখিয়ে বছরের পর বছর সরকারি টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপির অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা এই ভাবেই তুলে নিচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আর প্রশাসন মূক ও বধিরের ভূমিকা পালন করছে। বিজেপি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত প্রশাসন কোন কথা শুনবে না। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, এমনটাই দাবি বিরোধীদের৷