কলকাতা: স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি বাড়িতেও টিউশন পড়িয়ে থাকেন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা৷ বিশেষ করে করোনাকালে দীর্ঘ ছুটিতে অনেকেই গৃহশিক্ষকতা শুরু করেছিলেন৷ কিন্তু এবার থেকে স্কুলের শিক্ষকরা আর বাড়িতে টিউশন পড়াতে পারবেন না৷ নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হল৷
আরও পড়ুন- পেলেন চাকরির নিয়োগপত্র, ববিতার বেতন কত হতে চলেছে?
ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, শুধু গৃহশিক্ষকতাই নয়, কোনও রকম কোচিং সেন্টারের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারবেন না সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ সরকারি নিয়মের পরোয়া না করে অনেকেই বাড়িতে টিউশন পড়াচ্ছেন বলে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ উঠেছিল৷ সেটা রুখতেই কড়া পদক্ষেপ করল স্কুল শিক্ষা দফতর৷
২৭ জুন প্রকাশিত ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বাড়িতে বিনামূল্যেও টিউশন পড়ানো যাবে না৷ আইন অনুযায়ী সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের টিউশন পড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, অনুরোধ অনেক হয়েছে। আর নয়৷ প্রাইভেট টিউশন করলে প্রধান শিক্ষকরা নির্দিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার থানায় এফআইআর করতে পারবেন। সম্প্রতি ৬১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে৷ অভিযোগ, স্কুল থেকে বেতন পাওয়ার পরেও তাঁরা বাড়িতে টিউশন দিয়েছেন৷
ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের কাছে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘রাইট অফ চিলড্রেন টু ফ্রি অ্যান্ড কমপালসারি এডুকেশন অ্যাক্ট, ২০০৯’ সালের ২৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী, সমস্ত সরকারি স্কুল, মডেল স্কুলের শিক্ষকরা আর প্রাইভেট টিউশন পড়াতে পারবেন না।
স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের একটা টাকাও বেতন কমেনি বা কাটা হয়নি। বাড়িতে বসে পূর্ণ বেতন পেয়েছেন৷ তা সত্ত্বেও শিক্ষকদের একটি অংশ চুটিয়ে টিউশন করেছেন বলে অভিযোগ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা বাড়াল সরকার।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>