‘খুলতে হবে স্কুল’, দাবি উঠতেই মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে কাঠগড়ায় পুলিশ!

‘খুলতে হবে স্কুল’, দাবি উঠতেই মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে কাঠগড়ায় পুলিশ!

5a3235b6ca9cb45c3f640f9b1ee03f87

কলকাতা: শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত মহিলা কর্মীদের চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে৷ ঘটনার জেরে রীতিমতো সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কলেজ স্ট্রিট চত্বর৷

ডিএসও-এর রাজ্য সভাপতি শামসুল আলমের অভিযোগ, ‘‘করোনা আবহে মানুষের রোজগার বন্ধ৷ তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি মুকুবের দাবিতে আমরা আন্দোলন সংগঠিত করছিলাম৷ শান্তিপূর্ণভাবেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আমরা কর্মসূচি করছিলাম৷ আচমকায় পুলিশ এসে বলা নেই কওয়া নেই টেনে হিঁচড়ে মারতে মারতে ভ্যানে তুললো৷ মেয়েদেরও ওরা বাদ দেইনি, চুলের মুঠি ধরে ভ্যানে তুলেছে৷’’ এরপরই তীব্র কটাক্ষের সুরে শামসুল বলেন, ‘‘আজ যিনি মুখ্যমন্ত্রী, একসময় তাঁকে সিপিএমের পুলিশ চুলের মুঠি ধরে রাইটার্স থেকে বের করে দিয়েছিল৷ আশা করব, উনি সেই ঘটনা ভুলে যাননি৷’’

dso

রেজাল্ট বিভ্রাটের প্রতিবাদে এবং করোনা আবহে মানুষের আর্থিক বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি মুকুবের দাবি জানাতে গিয়ে ২৬ জুলাই রাজ্যের জেলায় জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে আন্দোলন সংগঠিত করেছিল ডিএসও৷ অভিযোগ, শতাধিক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ বাঁকুড়ার ১১জন ডিএসও কর্মীকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ৷ তারই প্রতিবাদে এবং ফি মুকুবের দাবিতে এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন ডিএসও-র কর্মীরা৷ তখনই আচমকা তাঁদেরকে মারধর করে আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে৷ যার জেরে দু’পক্ষের মধ্যে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়৷ পুলিশের বিরুদ্ধে মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগের বিষয়ে অবশ্য কোনও পুলিশ কর্তার প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *