পরীক্ষা না দিয়েই ফেল কীভাবে? প্রতিবাদে স্কুলে তালা, বিদ্রোহ পড়ুয়াদের

পরীক্ষা না দিয়েই ফেল কীভাবে? প্রতিবাদে স্কুলে তালা, বিদ্রোহ পড়ুয়াদের

 

হাওড়া: আন্দুলের পর এবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুর। আজ সকালে বিশালাক্ষ্মীতলা হাই স্কুলে তালা ঝোলাল উচ্চমাধ্যমিকে অনুর্ত্তীর্ণ ছাত্রীরা। বিক্ষোভে সামিল হন ছাত্রীদের অবিভাবকরাও। কেন? জানা গিয়েছে, ওই স্কুল থেকে ১১৭ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। ৩৭ জনকে ফেল করানোর অভিযোগেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।

ছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবিকাদের অভিযোগ, কিসের ভিত্তিতে ফেল করানো হল, তার কৈফিয়ৎ দিতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে৷ তা না হলে আন্দোলন চলবে৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রীতিমতো রণংদেহী মেজাজে দেখা গিয়েছে পড়ুয়া ও অভিভাবিকাদের৷ তাঁদের বক্তব্য, টানা লক ডাউন৷ স্কুল বন্ধ৷ সেক্ষেত্রে ফেলের দায় স্কুল কর্তৃপক্ষও এড়িয়ে যেতে পারে না? অন্যদিকে ফেলের কারণ তো অবশ্যই দর্শাতে হবে৷ শিক্ষকদের একাংশের তরফে অবশ্য ক্ষুব্ধ ছাত্রী ও অভিভাবিকাদের বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল৷ কিন্তু সেগুড়ে বালি! ক্ষুব্ধ ছাত্রী ও অভিভাবিকারা স্কুলের গেটেই তালা ঝুলিয়ে দেন৷ বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর দেন পুলিশে৷

শুধু হাওড়া নয়, উত্তর ২৪ পরগণা সহ একাধিক জেলায় দেখা যাচ্ছে ফেলকে কেন্দ্র করে পথে নেমে আন্দোলন করছেন পড়ুয়ারা৷ এদিন সকালেই উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধ্যমগ্রামের বেশ কয়েকটি স্কুল চত্বর। পরিকল্পিতভাবে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ফেল করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মধ্যমগ্রামে চৌমাথা যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা জেলায় জেলায় অকৃতকার্য পড়ুয়াদের মধ্যে যেভাবে ক্ষোভের চেহারা বাড়ছে তাতে শঙ্কিত শিক্ষকমহল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + seven =