কলকাতা: করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় গত বছরের মার্চ মাস থেকে গোটা দেশে ঘোষিত হয়েছিল সম্পূর্ণ লকডাউন। তারপর থেকেই রাজ্যে বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্কুল কলেজ। আনলক প্রক্রিয়ায় বাকি সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও এ রাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজায় এখনও ঝুলছে তালা। অনলাইনেই চলছে পঠনপাঠন।
করোনা ভ্যাকসিনের বন্টন প্রক্রিয়া চালু হওয়ার সাথে সাথেই স্কুল কলেজগুলি ফের পুরোদমে চালু করার দাবি উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এমতাবস্থায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ক্লাস শুরু হতে পারে আগামী মাসেই, এদিন এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে সব শ্রেণির ক্লাস এখনই চালু করা হবে না। যদি ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খোলে তবে শুধুমাত্র উঁচু শ্রেণি এবং কলেজ পড়ুয়াদের ক্লাস চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনা বিধি কঠোর ভাবে মেনেই স্কুল কলেজ চালু করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। সেই সূত্রেই রবিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন স্কুল কলেজ গুলিতে জীবানুমুক্তকরণের কাজ চলছে জোরকদমে। তবে এখনি ক্লাস শুরুর বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় নি। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আপাতত নবম শ্রেণি থেকে বাকিদের ক্লাস শুরু করা যায় কি না সে বিষয়ে উচ্চতর পর্যায়ে আলোচনা চলছে। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার্থীদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস চালুর বিষয়েও ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে করোনা বিধি মেনে কলেজ খোলার বিষয়েও তৈরি হয়েছে সম্ভাবনা।
স্কুল হোক বা কলেজ, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাই সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাবতীয় সিদ্ধান্ত এই বিষয়কে মাথায় রেখেই নেওয়া হবে। বস্তুত, লকডাউনের পর থেকে বেসরকারি স্কুল এমনকি সরকারি স্কুলের উচ্চ শ্রেণী এবং কলেজ গুলিতে অনলাইন মাধ্যমে পঠনপাঠন চললেও সরকারি স্কুলের প্রাথমিক স্তরে ক্লাস হচ্ছে না একেবারেই। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক মহল, সকলেই। কিন্তু স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর তুলে এনেছেন দেশের অন্যান্য রাজ্যের দৃষ্টান্ত। উল্লেখ্য, একাধিক রাজ্যই করোনা বিধি মেনে আনলক প্রক্রিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা গেছে পড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ।