কলকাতা: ফের পিছল প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার মামলার শুনানি৷ সারদা কাণ্ডে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। সেই আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করার বিষয়টিও৷ মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি৷ কিন্তু তা ফের দু’ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হল৷
আরও পড়ুন- অবশেষে ভোট কর্মীদের লাঞ্চ প্যাকেটের বরাদ্দ করল নির্বাচন কমিশন! উচ্ছ্বসিত কর্মচারী মহল
গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজীব কুমারকে হেফাজতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ এর আগে, ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিলংয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল রাজীব কুমারকে। সেই সময় সিবিআই দাবি করেছিল, একাধিক তথ্য জেনে বুঝে তিনি চেপে গিয়েছেন। সারদাকাণ্ডে আরও তথ্য জানতেই রাজীব কুমারকে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই৷ এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামাও জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ সেখান বলা হয়, সারদার টাকা নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সুবিধে নেওয়া বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে বারবার আড়াল করার চেষ্টা করেছেন রাজীব কুমার।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এস আবদুল নাজি এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আনা মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল৷ সুপ্রিম কোর্টের তালিকায় ২ নম্বরেই ছিল রাজীব-মামলা৷ কিন্তু এদিন ফের তা দু’সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়৷ প্রসঙ্গত, এর আগেও বেশ কয়েকবার রাজীব মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, তা পিছিয়ে যায়৷ এদিন ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল৷
আরও পড়ুন- CBI যাওয়ার আগেই অভিষেকের বাড়িতে মমতা! ‘শান্তিনিকেতনে’ ৮ CBI আধিকারিক
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সারদা আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তে গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল৷ যার মাথায় ছিল বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার৷ সেই সূত্রেই জেরা করা হচ্ছে তাঁকে৷ ভোটের মুখে এই মামলার রায় বেরলে নিশ্চিতভাবেই নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে৷ ইতিমধ্যেই কায়লাকাণ্ডে সিবিআই জেরার মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা৷ অন্যদিকে আবার সারদা ও নারদকাণ্ডে বিজেপি’তে যাওয়া নেতাদের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ৷ তাঁর দাবি, সিবিআই যদি নিরপক্ষে ভাবে তদন্ত করেই থাকে, তাহলে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন?