কলকাতা: এক জনসভায় ভাষণ দিতে উঠে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরাসরি বুকে গুলি মারার নিদান দিচ্ছেন! গতকাল শীতলকুচি ঘটনার প্রেক্ষিতে যখন সরগরম বাংলা, বিজেপি আঙুল তুলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে, তখন বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু এই মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুহুর্তের মধ্যে অস্বস্তি বেড়ে গেল বিজেপির।
গতকাল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে শীতলকুচিতে। এর আগে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে এবং সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে ভয় দেখিয়ে। তাই ভোট দিতে যাওয়ার সময় তাদের যেন ঘিরে রাখা হয়, একদল ঘিরে রাখবে এবং একদল ভোট দিতে যাবে। বিজেপির দাবি গতকাল এইরকমই কিছু একটা করতে গিয়েছিল বেশ কয়েকজন যার ফলে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘উস্কানি’কেই দায়ী করছে। তবে তাদের নেতা সায়ন্তন বসু যে বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল তাতেও তিনি খুব একটা সুখকর কিছু বলছেন না। সায়ন্তনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “সিআরপিএফ-কে বলে দেবো গুলি যেন বুক লক্ষ্য করে যায়, পা লক্ষ্য করে না যায়। এমন বাড়াবাড়ি দেখানো হবে যাতে দৌড়াদৌড়ি দূরের কথা, দৌড়ে গেলে খাটিয়াতে ফিরতে হবে!” বিরোধীরা ইতিমধ্যেই আক্রমণ করতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপিকে, যে তাদের নেতাদের এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করছে না। কেন প্রশ্ন তোলা হবে না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর তুঙ্গে। যদিও এই ভিডিওটি কবেকার সেটা এখনো পর্যন্ত যাচাই করা যায়নি।
তবে বিজেপির বক্তব্য, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময়ের একটি ভিডিও ভাইরাল করে এখন রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এসব করে কোন লাভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। তবে তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট জানাচ্ছে, বিজেপির নির্দেশেই নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালিত হচ্ছে এবং তাদের কথামতো গতকালের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের মডেল কোড অফ কন্ডাক্টকে মোদী কোড অফ কন্ডাক্ট বলেছেন। একইসঙ্গে দাবি করেছেন, আগামী তিন দিন ওই এলাকায় যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তথ্য লুকানোর জন্য।