কলকাতা: বুধবারই শেষ হয়েছিল সারদা মামলায় অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের জামিনের শুনানি৷ শনিবার রায় ঘোষণায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ অনেকেই মনে করছেন দেবযানীর জামিনে অনেকটাই নিষ্প্রভ হল সারদা মামলা৷ তবে কি নিস্তেজ হয়ে আসছে সারদা মামলার ভবিষ্যৎ?
আরও পড়ুন- পরিবারের ৪ জনকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখল ছেলে! চাঞ্চল্যকর ঘটনা মালদহে
২০১৩ সালে সারদা চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হন সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন৷ গ্রেফতার করা হয় সংস্থার জুনিয়র এগ্জিকিউটিভ দেবযানী মুখোপাধ্যায়কেও। তার পর থেকেই তাঁরা দু’জনে জেলে রয়েছেন। তবে আজ দেবযানীর জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। মনে করা হচ্ছে, দেবযানী জামিন পাওয়ার পর কিছুটা হলেও প্রশস্ত হল সুদীপ্ত সেনের মুক্তির পথ৷ কিন্তু সারদা চিট ফাণ্ডে হাজার হাজার আমানতকারীর যে কোটি কোটি টাকা চোট করা হল, তার কী হবে? কী ভাবেই বা বিহিত পাবেন সর্বস্বান্ত হওয়া সেই সকল মানুষগুলি? তার কোনও দিশা আজও মিলল না৷ দেবযানী জামিনে মুক্ত হলেন, আইনি লড়াইয়ে হয়তো বা জামিন পাবেন সুদীপ্ত সেনও। কিন্ত, জনতার কষ্টার্জিত অর্থ আদৌ ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে কি? তার সদুত্তর পেল না সব হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া আমানতকারীরা৷
সারদা কাণ্ড গোটা রাজ্যকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল৷ ২০১৩ সালে সারদা চিট ফান্ড বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত এই সংস্থায় ১৭ লক্ষ আমানতকারী ছিল৷ সারদা বন্ধ হওয়ার বহু মানুষ পথে বসেছিল৷ কিন্তু আজও সেই টাকা তাঁরা পাননি৷ এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন বর্তমানে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ তিনি জামিন পেয়েছেন আগেই৷ জামিনে রয়েছেন অন্যান্য অভিযুক্তরাও৷ কিন্তু দেবযানী প্রধান অভিযুক্ত না হয়েও এতদিন জেল খাটতে হল তাঁকে৷ এই যুক্তিতেই আজ জামিন পান দেবযানী৷
২০১২ সালের মার্চ মাসে একটি নির্দেশিকায় রাজ্য সরকার সমস্ত সরকারি গ্রান্থাগারগুলিতে ৮টি সংবাদপত্র রাখার কথা বলেছিল৷ সেই তালিকায় ছিল সারদা গ্রুপের পেপারও৷ যদিও এই ভিত তৈরি হয়েছিল বাম আমলেই৷ এই সংস্থার সিইও ছিলেন কুণাল ঘোষ৷ তাঁর বেতন ছিল ১৬ লক্ষ টাকা৷