তৃণমূল হয়ে এবার বিজেপিতে গেলেন ‘কংগ্রেসের’ অরিন্দম

তৃণমূল হয়ে এবার বিজেপিতে গেলেন ‘কংগ্রেসের’ অরিন্দম

কলকাতা: খাতায়-কলমে কংগ্রেস বিধায়ক হলেও শেষ সময় পর্যন্ত অরিন্দম ভট্টাচার্য ছিলেন তৃণমূল নেতাই। ২০১৬ সালের নদীয়ার শান্তিপুর থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জিতে ছিলেন তিনি। বিধায়ক হওয়ার পরেই তৃণমূলে যোগ দেন। এবার সেই অরিন্দম ভট্টাচার্য গেলেন ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরে। এদিন শুরু থেকেই জল্পনা ছিল যে কোনো এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন। সেই জল্পনাই সত্যি করলেন শান্তিপুরের বিধায়ক। দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি। 

এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেছেন, কেউ যখন নিজের চাকরি বা কাজ সেরে রাজনীতিতে আসেন তখন অনেক স্বপ্ন এবং আশা নিয়ে আসেন। আশা থাকে নিজের রাজ্য এবং নিজের রাজ্যের মানুষদের উন্নতি ঘটানোর। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার স্বপ্ন থাকে তার। কিন্তু যে রাজ্যে কাউকে ফেসবুক পোস্ট লিখতে হয় যে কিডনি বেচবো তাহলে যদি চাকরি মেলে, সেটা সকলের কাছে লজ্জার ব্যাপার। এই প্রসঙ্গ তুলে তিনি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই আক্রমণ করেছেন তা বলাই বাহুল্য। একই সঙ্গে তিনি জানান, বহুবার তিনি বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেবার চেষ্টা করেছেন কিন্তু সেগুলো কাজে লাগানো হয়নি। রাজ্যের এমন পরিস্থিতি যে যুব সম্প্রদায়ের কথা শোনা হচ্ছে না। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের যুব সম্প্রদায়ের আজ কোন ভবিষ্যৎ নেই।লকডাউন পরিস্থিতি সময় যখন সারাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছিলেন, তখন তাদের দেখে বোঝা গিয়েছিল তাদের কত বয়স। সেটাই প্রমাণ করে এই রাজ্যের বেকারত্বের হার। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের যুব সম্প্রদায় অনেক আশা নিয়ে ছিল যে রাজ্যে তাদের চাকরি মিলবে, কিন্তু সেই আশা আশাই রয়ে গেছে।

এই মন্তব্য করেই সমস্ত জাতি, ধর্ম এবং বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। তিনি দাবি করেছেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশ যার পরিকল্পনা, আত্মনির্ভর ভারত গড়ার যার স্বপ্ন, তাঁর দল এবং তাঁকে ভোট দিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হবে দেশবাসীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *