কলকাতা: নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত হুগলির সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। শুক্রবার ১২ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে তাঁর। তবে জেলের যাওয়ার আগে ফের একবার নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করলেন তিনি। একই সঙ্গে বললেন, তিনি নির্দোষ কিনা তা ঠিক সময়ে জানা যাবে।
আরও পড়ুন- বাড়ছে গ্যাসের দাম, কী করে জ্বালানির সাশ্রয় করবেন? মেনে চলুন সহজ নিয়মগুলি
এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেলেই থাকবেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু তিনি নয়, ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষরাও সেখানে থাকবেন। আজকের আদালতের এই নির্দেশের পরে শান্তনুকে জেলে নিয়ে যাওয়ার গাড়িতে তোলা হচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ই তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে ফের দাবি করেন। শান্তনুর কথায়, সত্যিই দোষী হলে শাস্তি পাবেন তিনি, কিন্তু আদতে তিনি নির্দোষ কিনা তা সঠিক সময়েই জানা যাবে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে খোদ ইডি দাবি করেছে যে তিনি ‘চিটিংবাজিতে বড় দাদা’। কিন্তু নিজেকে প্রথম থেকেই নির্দোষ বলে আসছেন শান্তনু। বরং তিনি দোষ চাপিয়েছেন অন্য ধৃত কুন্তল ঘোষের ওপর।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বাম আমল থেকে তৃণমূল জামানা, শিক্ষা দুর্নীততে জেরবার বাংলা! Recruitment scam since Left tenure” width=”853″>
এর আগে সংবাদমাধ্যমে শান্তনু দাবি করেছিলেন, জেলে যারা আছে তারাই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে! কিন্তু তিনি নির্দোষ। পরে তিনি কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে তিনিই এই কাণ্ডের মাথা, আর যা টাকা আছে তা অন্য রাজ্যে সরিয়ে দিচ্ছেন। ওদিকে কেন্দ্রীয় সংস্থার বক্তব্য, ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা পাওয়া গিয়েছিল শান্তনুর বাড়ি থেকে। তার মধ্যে ২০ জনের চাকরি করে দিয়েছিলেন তিনি। আর প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী পিছু ৪-৫ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন।