মন্ত্রীর নির্দেশে ভোট করিয়েছিলাম, ভুল করেছি! ক্ষমা চাইলেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রশাসক, বিঁধল বিজেপি

মন্ত্রীর নির্দেশে ভোট করিয়েছিলাম, ভুল করেছি! ক্ষমা চাইলেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রশাসক, বিঁধল বিজেপি

 বনগাঁ:  ২০১৫ সালে পুরনির্বাচনে বনগাঁর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডকে জিতিয়েছিলেন তিনি৷ নিজের মুখেই তা স্বীকার করে নিলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক শঙ্কর আঢ্য৷ সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, নিজের ইচ্ছায় নয়৷ সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশেই তিনি এ কাজ করছিলেন৷ সম্প্রতি মিলনপল্লি এলাকায় একটি সভা থেকে ২০১৫ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন শঙ্কর। এমনকী নিজের সেই কাজের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। 

আরও পড়ুন- অপেক্ষা আরও বাড়ল, পিছিয়ে গেল পুরভোট মামলার শুনানি

শঙ্কর বলেন, ‘‘আমার রাজনৈতিক জীবনে যদি কোনও অন্যায় করে থাকি তাহলে সেটা ২০১৫ সালের পুরভোটে৷ তবে নিজের ইচ্ছায় সেই ভুল করিনি৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথায় করেছিলাম। আমি নিজেও প্রার্থী ছিলাম ওই নির্বাচনে। বামফ্রন্ট অধ্যুষিত এলাকায় সকাল সকাল ভোট হচ্ছিল। হেরে যাওয়ার ভয়ে ছুটে গিয়েছিলাম বনগাঁ হাইস্কুলে। জেলার প্রিয় মন্ত্রীর নির্দেশে ছুটে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম বুথ ছেড়ে কী ভাবে যাব? তা সত্ত্বেও ওঁর জোড়াজুড়িতে নিজে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট করিয়েছিলাম। সে দিন ভুল করেছিলাম। ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা চাওয়া অপরাধ নয়।’’ প্রসঙ্গত, তাঁর ইঙ্গিত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দিকে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ এদিন শঙ্করের এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ 

আক্রমণ শানিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডলও৷ তিনি বলেন, ‘‘ উনি ক্ষমা চাইলেও বনগাঁর মানুষ ওঁকে ক্ষমা করবে না৷ বনগাঁর মানুষের সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়েছে৷ ২০১৫ সালে উনি রিগিং করে জিতেছিলেন৷ রিগিং করে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডকে জিতিয়েছিলেন৷ উনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে ওঁর মন্ত্রী ওঁকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড জেতাতে বলেছিলেন৷ বনগাঁয় ২২টি ওয়ার্ডে রিগিং হয়েছে৷ আগামী সময়ে ভোটে বনগাঁর মানুষ এই অন্যায়ের জবাব দেবে।’’

অন্যদিকে তৃণমূলের বনগাঁ সংসদীয় জেলা সভাপতি আলোরানি দাস বলেন, ‘‘ক্ষমা চেয়ে উনি ভালোই করেছেন৷ কিন্তু উনি যেটা বলেছেন সেটা ঠিক নয়৷ কাউকে দোষারোপ করে গর্হিত কাজ করেছেন৷ ২০১৫ সালে কী ভাব নির্বাচন হয়েছিল আমি জানি না৷ আমি মাত্র ৩ মাস এখানে এসেছি৷ তবে আগামী দিনে সুষ্ঠ ভাবে আমি ভোট করাব৷ কোনও রিগিং চলবে না৷ স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষকেই প্রার্থী করা হবে৷ দিদি যাঁকেই প্রার্থী করবেন, আমরা তাঁকেই জেতাব৷’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *