বাঁকুড়ার গ্রামে সক্রিয় চন্দন দস্যু, রাতের অন্ধকারে উদ্ধার একাধিক চন্দন গাছ

বাঁকুড়ার গ্রামে সক্রিয় চন্দন দস্যু, রাতের অন্ধকারে উদ্ধার একাধিক চন্দন গাছ

a38e83dc7ec055e2d5d875325e6b540f

বাঁকুড়া: রাতের অন্ধকারে বহুমৃল্যবান চন্দন গাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল সোনামুখীর কোচডিহি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুড়ামণিপুর ও মুসলো গ্রাম এলাকায়।

স্থানীয় সুত্রে খবর , চুড়ামণ্িপুর গ্রামের সুজিত মজুমদার নামে এক ব্যক্তির বাড়ির বাগান থেকে একটি চন্দন গাছ চুরি করে দুষ্কৃতীরা এবং অপর একটি গাছ কাটার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে মুসলো গ্রামের একটি মন্দির থেকে দুটি চন্দন গাছ চুরি হয়েছে। এছাড়াও চুড়ামণিপুর গ্রামের অসীম দত্ত নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রাতের অন্ধকারে চন্দন গাছ কাটে দুষ্কৃতীরা৷ কিন্তু বাড়ির সদস্যরা টের পেয়ে গেলে চেঁচামেচি শুরু করতেই দুষ্কৃতীরা গাছ ফেলে চম্পট দেয়।

চুরি যাওয়া চন্দন গাছের মালিক চুড়ামণিপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজিত মজুমদার বলেন , গত দশ বছর ধরে এই ধরনের ঘটনা ঘটে আসছে৷ এখনও পর্যন্ত চোর ধরা পড়েনি । সন্ধ্যা হলেই চুরামণিপুর মোড় থেকে কোচডিহি গ্রামের আগে পর্যন্ত অসামাজিক কাজ চলতে থাকে। রীতিমতো আমরা আতঙ্কিত রয়েছি। মুসলো গ্রামের মন্দিরের পূজারী কৃষ্ণ দাস জানান , ‘‘রাতে শুয়ে ছিলাম৷ সকালে উঠে দেখছি গাছের ডালপালা পড়ে আছে । মন্দিরের একটা বড় ক্ষতি হল।’’

কোচডিহি পঞ্চায়েত প্রধান ঝর্ণা রায় বলেন , ‘‘এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না৷ আমার কাছে কোনও রিপোর্ট আসেনি। যদি কোন অভিযোগ আসে তাহলে পঞ্চায়েত গত ভাবে তদন্ত করা হবে।’’ যদিও ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি৷ পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এলাকায় কোনও চক্র যে সক্রিয় রয়েছে, সেটা এঘটনা থেকে স্পষ্ট৷ আমার দ্রুত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি৷’’ – প্রতীকী ছবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *