করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোটে জিততে চাইছেন মমতা! দাবি বিজেপির

করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোটে জিততে চাইছেন মমতা! দাবি বিজেপির

কলকাতা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দেশে এবং পশ্চিমবঙ্গের হু হু করে বাড়ছে দিন প্রতি। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের জন্য প্রচারে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। জনসভা বাতিল করা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির তরফে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মানুষকে সচেতন করতে চাইছেন সকলে। তবে এই ইস্যুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল বিজেপি। তাদের দাবি, রাজ্যের মানুষকে করোনাভাইরাস নিয়ে ভয় দেখিয়ে ভোটে জিততে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করেন রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

শমীকের কথায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছেন যাতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পারে। একদিকে অন্য রাজ্য সাধারণ মানুষকে টিকা নিয়ে সচেতন করতে চাইছে এবং উৎসাহিত করছে, আর পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে আতঙ্কের পরিস্থিতি বজায় রাখতে চাইছেন। এই ক্ষেত্রে বিজেপি নেতা দাবি করছেন, শুধুমাত্র ভোট বৈতরণী পেরোতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করতে চাইছেন। যদিও তার কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পরিকল্পনা কখনোই সফল হতে দেবে না বাংলার সাধারণ মানুষ। শমীক বলছেন, বিগত ছয় দফায় যেভাবে বাংলার মানুষ ভোট করেছেন বাকি দুই দফাতেও একই ভাবে ভোট হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিয়ে তিনি আরো দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাতে চাইলেও রাজ্যের মানুষ তাতে আর ভয় পাচ্ছেন না। সেই কারণেই মমতার যে পরিকল্পনা রয়েছে তা সফল হবে না। বিজেপি বাংলায় ২০০ আসনের বেশি পেয়ে ক্ষমতায় আসবে বলে এদিন তিনিও দাবি করেন। একই সঙ্গে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যতবেশি কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করবেন, তত বেশি ব্যবধানে বাংলায় নির্বাচনে জিতবে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার দাবি করেছেন যে বিজেপি এরাজ্যে বহিরাগতদের নিয়ে এসে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি করেছে। রাজ্যে এত বেশি সংক্রমণের জন্য একমাত্র বিজেপি দায়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *