কেঁচো খুড়তে কেউটে! করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড যেন ডেঙ্গুর আঁতুড় ঘর

কেঁচো খুড়তে কেউটে! করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড যেন ডেঙ্গুর আঁতুড় ঘর

কলকাতা: কেঁচো খুড়তে কেউটে৷ ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে গিয়ে রীতিমতো ভিরমি খাও.ার জোগাড় হলেন পুর কর্তারা৷ ঘটনা সল্টলেকের৷ সল্টলেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ জানতে মঙ্গলবার সকালে অভিযানে নেমেছিলেন বিধান নগর পুর নিগমের কর্তারা৷ তল্লাশি অভিযানে নেমে তাঁরা পৌঁছান সল্টলেকের করুনাময়ী বাস স্ট্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল বাস টার্মিনার্সে৷ সেখানে গিয়ে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় কর্তাদের৷

বিধাননগর পুরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য প্রণয় কুমার রায়ের দাবি, বাসস্ট্যাণ্ডের ধারে টায়ারের মধ্যে ,ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে ও জমে থাকা জলে পাওয়া গেল লার্ভা।  এমনকি ঝুপড়ি হোটেলগুলোতে যে ড্রামে করে জল রেখেছে সেই ড্রামের মধ্যে প্রচুর পরিমানে লার্ভার সন্ধান মিলল৷ এবং এই জল থেকেই নাকি রান্না করা হয়। হাতও ধোওয়া হয় এই জলে৷ শুধু তাই নয়, পাশের ড্রেনের মধ্যেও জমে থাকা জলে গিজ গিজ করছে প্রচুর লার্ভা৷ প্রণববাবু বলেন, ‘‘তদন্তে না এলে তো এমন কাণ্ড কারখানা জানা যেত না৷ দুদিনের মধ্যে সব পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’

করোনা ছিলই৷ এবার তার দোসর হিসেবে হাজির হল ডেঙ্গু৷ বিধাননগর পুরর এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ৷ যার জেরে কপালে চিন্তারভাঁজ চওড়া হচ্ছে  বিধাননগর পৌর নিগম কর্তৃপক্ষের। আর সেই কারণে তড়িঘড়ি ডেঙ্গু অভিযানে নামলেন বিধাননগর পুরনিগমের কর্তারা৷ পুরসভা সূত্রের খবর: চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৫ জন৷ সেখানে অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ জন। এই পরিসংখ্যানই যথেষ্ট চলতি মরসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির ভয়াবহতাকে বোঝার জন্য৷ তাই দেরি না করে সল্টলেকের করুনাময়ী বাস স্ট্যান্ড, ডিএল, ইই ব্লক এই সব জায়গায় এদিন পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক। তারপরই বেরিয়ে আসে এমন বিস্ফোরক তথ্য৷ যা দেখার পর রীতিমতো আতঙ্কিত বাসিন্দারা নিয়মিত নজরদারির দাবি তুলেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − 3 =