বেতন সমস্যা মেটেনি, তবুও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান BGTA-এর

বেতন সমস্যা মেটেনি, তবুও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান BGTA-এর

কলকাতা: বেতনবৈষম্যের সমস্যা মেটেনি এখনও। হাইকোর্টে এই নিয়ে মামলা হলেও লকডাউনের জেরে স্থগিত তার শুনানিও। এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন এই রাজ্যের গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড স্কুলের গ্র্যাজুয়েট ক্যাটাগরি শিক্ষকরা। তাতে কী? করোনার জেরে রাজ্যের সঙ্কটজনক অবস্থায় কথামতো এগিয়ে এলেন তাঁদেরই সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিটিএ)। মুখ্যমন্ত্রীর করোনা ত্রাণ তহবিলে ৫ লক্ষ টাকা সাহায্য করল তারা।

শিক্ষকদের বেতনবৈষম্যের অভিযোগে মামলা হাইকোর্টে উঠলেও লকডাউনের ফলে স্থগিত রয়েছে সেই শুনানি। সুরাহা পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য চেয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তহবিলেই ৫ লক্ষ টাকার চেক দিলেন তারা। সংগঠনের তরফে রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, 'রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। করোনা সঙ্কট মেটার পর গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।' সংগঠনের সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল জানিয়েছেন, 'এছাড়াও প্রতিটি জেলায় আমরা সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছব ত্রাণ নিয়ে।'

করোনা পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার নিয়েছে, তাতে সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বিজিটিএ-র সদস্যরা। তবে বেতন নিয়ে যে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে, সেই সমস্যা যেন এই সঙ্কট কাটার পর বিবেচনা করে দেখে সরকার। এমনিতে ত্রাণ তহবিলে সাহায্যের কথা এর আগেও জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে। তারা বলছিল, 'লক ডাউন দীর্ঘদিন চলতে থাকলে সমাজের সাধারণ মানুষ এবং অসংগঠিত শ্রমিকশ্রেণি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমরা গ্রাজুয়েট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে আবেদন রেখেছি, যাঁর পক্ষে যতটা সম্ভব, এই ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসুন। আমরা আশা রাখছি সপ্তাহখানেকের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে যতটা সম্ভব অর্থ জমা করতে পারব।' কথামতো ত্রাণ তহবিলে অর্থসাহায্য করল বিজিটিএ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 2 =