দরজায় লাথি মেরে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, জিতলেন সেই সজল

দরজায় লাথি মেরে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, জিতলেন সেই সজল

কলকাতা: তোলাবাজি থেকে শুরু করে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কয়েক মাস আগেই সজল ঘোষকে নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল কারণ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, তাও আবার বাড়ির দরজা ভেঙে। সেই বিতর্কিত নেতা সজল ঘোষ জিতলেন পুরসভা নির্বাচন। শহরের তিনটি ওয়ার্ডে জয় নিয়ে কিছুটা হলেও নিশ্চিত ছিল বিজেপি কিন্তু তার মধ্যে ছিল না সজলের ওয়ার্ড। তবে বিজেপিকে নয়া আশা দিলেন তিনি। গেরুয়া বাহিনী জিতল ৫০ নম্বর ওয়ার্ড।

মীনাদেবী পুরোহিত, বিজয় ওঝা এবং সুনীতা ঝাওয়ার যথাক্রমে ২২, ২৩ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন। এবার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড জিতল বিজেপি।  চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘাসফুল শিবির থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সজল এবং তারপর থেকেই বিতর্কের শিরোনামে ছিলেন। এমনকি তাঁকে টিকিট দেওয়া নিয়েও দলের অন্দরে ক্ষোভ ছিল চাপা। তবে এখন তিনি ভোটে জিতে যেন সব বিতর্কের অবসান ঘটালেন। উল্লেখ্য, কংগ্রেস ছেড়ে একসময় তৃণমূলে যোগ দেন সজল। পরে কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়েছিলেন তৃণমূলের হয়ে। তারপর আবার কংগ্রেসে ফিরে গিয়েও ফের ২০১২ সালে তৃণমূলে ফিরে আসেন সজল। শেষে চলতি বছর বিধানসভার আগে বিজেপিতে যোগদান এবং এখন বিজেপির টিকিটে কাউন্সিলর হলেন তিনি।

শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১৩৩ আসনে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের মালা রায় জয়ী হয়েছেন, আবার ওদিকে জিতেছেন ববি হাকিম এবং ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। সন্তোষকুমার পাঠক জিতেছেন ওই কেন্দ্রে। এছাড়াও ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সুস্মিতা ভট্টাচার্য চট্টোপাধ্যায়। ২০১৫ সালেও এই ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল। ৬৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছে সাম্মি জাহান বেগম। ২০১৫ সালেও এই ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল। ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায়। ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী রত্না সুর। ১২২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সোমা চক্রবর্তী৷ ২০১৫ সালে সবকটি আসনেই জিতেছিল তৃণমূল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *