কলকাতা: ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ নিয়ে প্রশ্ন করার জের৷ এবিপি আনন্দের প্রতিনিধিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন স্বয়ং মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে৷ কিন্তু কেন ধাক্কা মারা হল সাংবাদিককে? জানা গিয়েছে, এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি জয়ন্ত পাল ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ নিয়ে প্রশ্ন করতেই চটে যান মন্ত্রিমশাই৷ জবাবে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়৷ সেই ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়৷ এদিন দুপুর ২টো ৯ মিনিটে এই খবরটি সম্প্রচারিত হয়েছে এবিপি আনন্দে৷
আরও পড়ুন- বিজেপি’র কর্মসূচিতে বোমাবাজি ঘিরে বারাবনিতে ধুন্ধুমার, বিজেপির কাঠগড়ায় তৃণমূল!
শনিবার মুচিবাজারে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চলার মাঝে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়৷ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বোরোর কর্মসূচি চলছিল এদিন৷ ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কউন্সিলার অনন্ত রাউত৷ অনুষ্ঠান চলার মাঝে হঠাৎই এসে পৌঁছন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে৷ তার পরই গণ্ডগোলের সূত্রপাত৷ একাধিক সরকারি প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই কর্মসূচি চলার মাঝেই এই অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটল৷
আরও পড়ুন- বোল্লাকালী পুজোয় ব্যাঘাত, করোনা কাঁটায় জৌলুসহীন উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব
প্রসঙ্গত, মুচিপাড়ার এই এলাকায় মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবং অনন্ত রাউত গোষ্ঠীর মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ কারও অজনা নয়৷ এই নিয়ে বেশ ‘বদনাম’ রয়েছে তৃণমূলের, মত স্থানীয়দের৷ এদিনও ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চলার মাঝে দুই গোষ্ঠীর কর্মীরা ‘সংঘর্ষে’ লিপ্ত হয়৷ এর পরেই এবিপি আনন্দের সাংবাদিক জয়ন্ত পাল মন্ত্রী সাধন পাণ্ডেকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনাদের সামনে আপনাদের কর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন৷ কী কারণে?’’ এর জবাবেই তাঁকে ধাক্ক দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷
পরে জয়ন্ত পাল ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘‘সাধন পাণ্ডে গাড়ি থেকে নামার পর ক্যাম্পের দিকে যান৷ তাঁর সঙ্গে তাঁর দলবলও মঞ্চের দিকে এগোয়৷ কিন্তু অনন্ত রাউতের দলবল এসে তাঁদের বাধা দেয়৷ তাদের বক্তব্য, সাধন পান্ডে একা যাক৷ সকলে যেতে পারবে না৷ এর পরই শুরু হয় হাতাহাতি৷ সেই সময় সাধন পাণ্ডেকে প্রশ্ন করার পরই তিনি ধাক্কা দেন৷ ‘বুম’ নিয়ে তিনি নীচে পড়ে যান৷ এর পরই গাড়ি নিয়ে চলে সাধন পাণ্ডে৷ তার পর ক্যাম্পে ব্যাপক ‘মারপিট’ হয় দু’গোষ্ঠীর মধ্যে৷ এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, যেখানে সাংবাদিক নিজেই সংবাদ হয়ে উঠছেন সেখানে বুঝতে হবে ব্যবস্থাতেই গলদ রয়েছে৷