‘আমাদের জেলে পাঠিয়ে দিন, অন্তত উপোস করতে হবে না’, আদালতে কাতর আর্জি গ্রুপ সি’র চাকরিহারাদের

‘আমাদের জেলে পাঠিয়ে দিন, অন্তত উপোস করতে হবে না’, আদালতে কাতর আর্জি গ্রুপ সি’র চাকরিহারাদের

কলকাতা: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ৮৪২ জন ‘অবৈধ’ গ্রুপ সি কর্মীর৷ চাকরি হারিয়ে এখন তাঁদের কাছে বেঁচে থাকার লড়াই৷ আদালতের কাছে তাঁদের কাতর আর্জি, “দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রী তো জেলে। আমাদেরও জেলে পাঠিয়ে দিন। তাহলে তো অন্তত উপোস করে থাকতে হবে না।” একই সঙ্গে সিবিআইয়ের উদ্ধার করা ওএমআর শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গ্রুপ সি’র চাকরিহারারা৷ সিবিআইকে এই মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন- ১০০ কোটির চাকরি বিক্রি করেছেন অয়ন! বিপুল OMR সিট উদ্ধারে দাবি ইডির

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ গ্রুপ সি-তে কারচুপি করে চাকরি পাওয়া ৮৪২ জনের চাকরি গিয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁরা বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন৷  মঙ্গলবার ছিল তাঁদের মামলার  শুনানি৷ সেই সময়ই এজলাসে দাঁড়িয়ে চাকরিহারাদের কাতর আরজি, “দুর্নীতির মন্ত্রী জেলে বন্দি। শিক্ষাদফতরের বহু আধিকারকিরাও হাজতে। আমাদেরও ওখানে পাঠিয়ে দিন। ওখানে গেলে অন্তত খেতে তো দেবে। উপোস করে থাকতে হবে না।”

এদিন শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের উদ্ধার করা নথি নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন চাকরিহারারা। তাঁদের প্রশ্ন, যে ওএমআর শিটগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি যে আমাদেরই, সেটা কে নিশ্চিত করল? বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই ধরনের নথি বিকৃত করাটা কোনও কঠিন ব্যাপার নয়৷ আমাদের ওএমআর শিট যে বিকৃত করা হয়নি তার কী প্রমাণ? তাছাড়া এগুলি NYSA-র অফিস থেকে উদ্ধার হয়নি৷ এগুলি উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের এক প্রাক্তন কর্মীর বাড়ি থেকে৷ 

এর প্রত্যুত্তরে এসএসসি জানায়, “নথি যে কোনও সময় বিকৃত করা সম্ভব৷ কিন্ত, প্রশ্ন হল সেটা করা হয়েছে কি না? সিবিআই আমাদের যে নথি দিয়েছে তা ভালো করে  খতিয়ে দেখার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে ভুল হয়েছে সেটা আমরা সংশোধন করার চেষ্টা করছি।” এরপরেই এই মামলায় সিবিআইকে পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট৷