ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক। ফিরছেন পর্যটকরা। এদিকে, ভিআইপি ট্রিটমেন্টে রয়েছে ঘর পালানো শচীন। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে তার প্রাথমিক চিকিৎসা। তাকে দেখতে এদিন যান বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। ৩ দিন বনে, বাদাড়ে ঘুরে ঘরে ফিরেছে ছেলে। স্বস্তি ফিরেছে বন দফতর ও শিলিগুড়ি সাফারি পার্কের আধিকারিকদের। স্বস্তিতে প্রশাসনও। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক। আতঙ্ক কাটিয়ে ফিরছেন পর্যটকরাও।
নববর্ষের দিন সকালে এনক্লোজার থেকে পালিয়েছিল চিতাবাঘ শচীন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাফারি পার্ক সহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামে। বনদফতর জানিয়েছিল, এনক্লোজারের ভিতরে গাছ থেকে লাফ দিয়ে ১২ ফুটের ফেনসিং পেরিয়ে খাঁচার বাইরে চলে যায় চিতাবাঘটি। মহানন্দা অভয়ারণ্যে গিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করেন বনকর্তাদের একাংশ। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। নামানো হয় রেসকিউ টিম, ৪ টি কুনকি হাতি। ছাগলের টোপ দিয়ে পাতা হয় খাঁচা। ওড়ানো হয় ড্রোন। বৃহস্পতিবার, ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থাতে নিজেই এনক্লোজারে ফিরে আসে শচীন। মাথায় হালকা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে বনদফতর সূত্রে খবর। শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা। শচীনকে দেখতে যান বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে শচীনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন বনমন্ত্রী। পর্যটক ও স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সাফারি পার্কের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। আগামী দিনে গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাসের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প সাফারি পার্ককে আরও ঢেলে সাজারও আশ্বাস দিয়েছেন বনমন্ত্রী। চিতাবাঘ শচীন ফিরতেই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সে। পর্যটক সাফারি পার্কে প্রবেশ করেই খোঁজ করছেন শচীনের। আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে উপভোগ করছেন বেঙ্গল সাফারি পার্কে ভ্রমণের আনন্দ।