কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার র্যাডারে রয়েছেন। তাঁকে ইতিমধ্যেই একবার তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। দ্বিতীয় তলবে তিনি সাড়া দেননি। পঞ্চায়েত ভোটের কাজ ব্যস্ত বলে সেই তলব এড়িয়েছিলেন সায়নী। এখন ভোট মিটেছে, তৃণমূল বিপুলভাবে জিতেছে। আপাতত চলছে শুক্রবারের ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি। ইডি তলবের অস্বস্তির মাঝেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা গেল তাঁকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পরও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এত কাছে থাকা সায়নীকে নিয়ে আরও বেশি চর্চা।
আগামীকাল ২১ জুলাই। এই দিনটি তৃণমূলের জন্য প্রতিবারই বিশেষ, এবার তো আরও বেশি। কারণ সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে দারুণ ফল, আর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আগে এটাই শেষ ২১ জুলাই। তাই তৎপরতা তুঙ্গে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এদিন বিকেলে ধর্মতলার মঞ্চের পাশে এসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেক শীর্ষ নেতা। ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম। এঁদের পাশেই দেখা যায় নিয়োগ কাণ্ডে নাম জড়ানো অভিনেত্রী তথা দলীয় নেত্রী সায়নী ঘোষকে। তাহলে কি ২১-এর মঞ্চ থেকে সায়নীর পাশে দাঁড়িয়ে বড় বার্তা দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? প্রশ্ন উত্তর মিলবে খুব শীঘ্রই।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগসূত্রের ভিত্তিতেই তলব করা হয় সায়নীকে৷ আসলে কুন্তল ঘোষের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে সায়নীর নাম উঠে আসে। সেই সূত্রেই সায়নীকে তলব করা হয়। এছাড়া দশ বছরের আয়কর রিটার্নের হিসেব সংক্রান্ত নথি সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিও তাঁর থেকে চায় তদন্তকারীরা। সায়নীর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি কী কী রয়েছে, সেটাও জানাতে বলা হয়েছিল।