কলকাতা: গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নাকাল রাজ্যের মানুষ৷ জল যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে শহর থেকে গ্রামে৷ লাগাতার বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থা আসানসোলেও৷ ভেঙে পড়েছে নিকাশি ব্যবস্থা৷ পরিস্থিতি শোচনীয় বার্ণপুরে৷ জলবন্দী অবস্থায় দিন কাটছে সেখানকার মানুষের৷ কিন্তু সমস্যা সমাধানে টিকিও দেখা গেল না আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নমিত্রা পালের৷ বরং ‘ত্রাতা’র ভূমিকায় মাঠে নামলেন তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী সায়নী ঘোষ৷ দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা মেটালেন তিনি৷ বারবার ফোন করেও সাড়া মিলল না অগ্নিমিত্রার৷
আরও পড়ুন- ‘রাজনীতিতে থাকতে গেলে ধৈর্য্য রাখাটা জরুরি’, বাবুল প্রসঙ্গে মত তথাগতর
বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণে সায়নীকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ প্রচারে কোনও খামতি রাখেননি তিনি৷ রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়েও আসানসোলের অলিগলি চষে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী৷ কড়া টক্কর দিয়েও শেষ পর্যন্ত অগ্নিমিত্রার কাছে পরাজিত হন৷ ভোটে হারলেও আসানসোলের মানুষকে যে তিনি ভোলেননি সেটাই প্রমাণ করে দিলেন তৃণমূলের যুব নেত্রী৷ গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গিয়েছিল আসানসোল দক্ষিণের সুভাষপল্লী ও নরসিংবাঁধ এলাকা৷ হাঁটুজলে ডুবেছিল পুরনিগমের ৭৭, ৭৯ এবং ৮২ নম্বরের ওয়ার্ডের রহমতনগর৷ সমস্যা সামাধানে এলাকাবাসী ফোন করেছিলেন জয়ী বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে৷ কিন্তু তিনি ফোনই ধরলেন না৷ বরং খবর পেয়েই ঝাঁপিয়ে পড়লেন সায়নী৷
আরও পড়ুন- ‘জল ট্যাঙ্কের উপর ধর্মেন্দ্র..’ বাবুলের ইস্তফা নিয়ে তীব্র খোঁচা কুণালের
যদিও সায়নীকে কাজ করতে দেখে বেজায় চটেছেন অগ্নিমিত্রা৷ তাঁর দাবি, তাঁর কাছে কোনও ফোনই আসেনি৷ বরং পুরপ্রশাসক তাঁকে বলেছেন নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নোংরা রাজনীতির অভিযোগও তোলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক৷ তবে এ বিষয়ে সায়নীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷