‘গান্ধী হওয়ার চেষ্টা করছেন!’ রাজ্যপালকে একহাত নিলেন সায়নী

‘গান্ধী হওয়ার চেষ্টা করছেন!’ রাজ্যপালকে একহাত নিলেন সায়নী

কলকাতা: একজন চেষ্টা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হওয়ার কিন্তু বিশ্রীভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। এদিকে বাংলায় যারা বিজেপির হাতের পুতুল তারা এখন সবাই গান্ধী হওয়ার চেষ্টা করছেন! ঠিক এমন ভাষাতেই নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা সদস্য সায়নী ঘোষ। সম্প্রতি এই ইস্যুতে একটি টুইট করেছেন তিনি। সেই টুইটে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে দেখা যাচ্ছে। 

এক সংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানিয়েছিলেন যে রাজ্যের পুলিশ শাসক দলের ভয়ে কিছু কাজ করতে পারে না। তিনি বুকে গুলি খেতে রাজি কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলবেন। তিনি এও অভিযোগ করেন যে সাধারন মানুষ হতে পুলিশের কাছে যেতে পারে না এই রাজ্যে। এই ইস্যুতেই সায়নী পাল্টা খোঁচা দিয়ে বলেছেন, “একজন চেষ্টা করেছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হওয়ার কিন্তু চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। এখন বিজেপির হাতের পুতুলরা বাংলায় গান্ধী হওয়ার চেষ্টা করছে। যখন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বে নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি করে বাংলার সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছিল তখন আপনার এমন কিছু মনে হয়নি?” রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্নই করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা সদস্য সায়নী ঘোষ। আসলে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর একাধিক জায়গা থেকে হিংসার চিত্র ধরা পড়েছিল। যদিও অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে বিজেপির তরফ থেকে ভুল খবর ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। তবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এখনও দাবি করছেন যে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার কোনো স্থিরতা নেই। মূলত কোচবিহার সফরে যাওয়ার পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ আরো বেড়ে যায়।

বিজেপি দাবি করেছে, জায়গায় জায়গায় গেরুয়া কর্মী এবং সমর্থকদের আক্রমণ করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে কোচবিহার সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সফরে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি দেখা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। কোচবিহারের গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয় তাঁকে এবং কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁর কনভয়কে। সব মিলিয়ে ব্যাপক উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সেখানে। পরবর্তী ক্ষেত্রে দিনহাটা থানার আইসিকে প্রকাশ্যে ধমক দেন রাজ্যপাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − two =