কলকাতা: কলকাতা পুরসভার অন্দরে যত্রতত্র নিরাপত্তা কর্মীদের ফোনে কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল পুর কর্তৃপক্ষ| তাই বলে একবারেই ফোনে কথা বলা যাবেনা তা নয়| সংক্ষিপ্ত বার্তালাপ করা যাবে| এর থেকে বেশি নয়| মোবাইল নিয়ে গেম খেলা বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ব্যস্ত থাকা যাবে না কর্মরত অবস্থায়| এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছিলেন পুর সচিব হরিহরপ্রসাদ মণ্ডল|
সোমবার থেকেই কার্যকরী হতে চলেছে এই নিয়ম| পুরসভা সুত্রে খবর, শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীন পুরভবনে ঢোকার সময় নজর করেন যে তিন-চারজন নিরাপত্তা রক্ষী মোবাইলে মাথা গুঁজে বসে আছে| এরপরই তিনি সিদ্ধান্ত এই ঘটনায় রদ টানতে হবে। সেই মত তিনি পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে ডেকে নিরাপত্তা রক্ষীদের সতর্ক করেছিলেন। এরপর নানা কারণে মেয়র পদের বদল ঘটে তাঁর জায়গায় এসেছেন ফিরহাদ হাকিম| তিনি এবার সদ্য প্রাক্তন মেয়রের অপূর্ণ কাজ পূর্ণ করতে চলেছেন| পুরভবন সুত্রে জানা গেছে, সদ্য মেয়রেরও মাঝেমধ্যে নজরে এসেছে, অনেক নিরাপত্তা রক্ষী মোবাইলের মধ্যেই নিজেদের নিয়োজিত রাখছেন। কেউ কেউ মেয়রের ঘরের সামনে বসেই স্মার্ট ফোনে আঙুল চালাতে ব্যস্ত।
শুধু তিনি নন, পুর কমিশনার খলিল আহমেদ ও পুর সচিবেরও বিষয়টি নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ওঠায় এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন পুর প্রশাসনের কর্তারা। এক পুর কর্তার কথায়, বর্তমানে সিভিক ভলান্টিয়াররাই পুরভবনের বেশিরভাগ নিরাপত্তা সামলায়| এছাড়াও রয়েছেন ঠিকা সংস্থার কর্মীরা। সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন।কিন্তু দেখা যায়, শুধু অবসর সময়েই নয়, ব্যস্ত সময়েও অনেককে মোবাইল ঘাঁটতে। যা সম্পুর্ন ভাবে নিষেধ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে| ওই কর্তা আরও জানান, কলকাতা পুরসভায় সারাদিন মন্ত্রী-আইএএস-আইপিএস বা অন্যান্য ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যাওয়াআসা করেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের সামনে কেউ যদি মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন, তা অনেকেই ভালো চোখে নেন না। আবার অনেক সময় এমনও হয়, নিরাপত্তা রক্ষীদের একাংশ ফোনে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে, মেয়র পারিষদ সদস্যরা কখন সামনে দিয়ে হেঁটে গেলেও তাঁরা বুঝতে পারেন না। এই ধরনের সংস্কৃতি এড়াতেই নিরাপত্তা রক্ষীদের মোবাইল ব্যবহারে রাশ টানা হল।বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, কারও যদি ফোন আসে, তাহলে তিনি তা ধরতে পারবেন। অর্থাৎ কথা বলার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই| তবে অবশ্যই তা সংক্ষেপে হতে হবে|