কলকাতা: রাজনীতির সমীকরণে সুজাতার জীবনের অঙ্ক থেকে কাটা পড়েছেন সৌমিত্র খাঁ। সুজাতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন সৌমিত্র। তবে সুজাতা চাননি। উল্টে তাঁদের সম্পর্কের এই অবনতির জন্য বিজেপি’কে দুষেছিলেন৷ কিন্তু সুজাতার মনের ফাঁকা জায়গাটা কি ধীরে ধীরে কেউ দখল নিচ্ছেন? সুজাতা সরাসরি অবশ্য জবাব দেননি৷ তবে বুঝিয়ে দিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতার পংক্তিতে৷ বললেন, ‘‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত৷’’
আরও পড়়ুন- ‘পুলিশ যা করেছে একদম ঠিক’, সায়নীর গ্রেফতারিতে বিপ্লব সরকারের পাশে দিলীপ
২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর সকলকে চমকে সৌগত রায় ও কুণাল ঘোষের হাত ধরে তৃণমূল যোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্র জায়া সুজাতা৷ বিধানসভা ভোটের আগে শিবির বদলের খেলায় সুজাতার পদ্মত্যাগ একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন সুজাতা। এর পরেই সাংবাদিক বৈঠকে এসে সুজাতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেন সৌমিত্র৷ সেই সময় রীতিমতো কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন “তৃণমূল এত বড় চোর! বালি চুরি করত, কয়লা চুরি করত, গরু চুরি করত, শেষে আমার বউকেও চুরি করল…”
এর পর সাক্ষাঞকার দেওয়ার সময় সুজাতাও সৌমিত্রর কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন৷ তখনও তাঁর হাতে শাখা-পলা, মাথায় সৌমিত্রর নামের সিঁদুর৷ বলেছিলেন, এ ভাবে একটা সম্পর্ক শেষ হয় না৷ সৌমিত্র ও সুজাতার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে আদালতে৷ সৌমিত্রর সঙ্গে দূরত্ব তৈরির এক বছরের মাথায় নতুন অধ্যায়ের সূচনার আভাস দিলেন সুজাতা৷ এমনই খবর টিভি৯ বাংলা সূ্ত্রে৷
গত এক বছরে সুজাতার জীবনে অনেক বদল এসেছে৷ চড়াই-উতরাই ঘটেছে৷ বিধানসভা ভোটে তারকেশ্বর থেকে পরাজিত হয়েছেন৷ সেই পর্ব কাটিয়ে অনেক দূরে এগিয়ে গিয়েছেন সৌমিত্র পত্নী৷ আপাতত রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ৷ কিন্তু তাঁর মনে ‘বসন্ত’৷ সুজাতা বললেন, “আমার আগামী জীবনে যাই হোক না কেন, সেটা খুব ভালই হবে। কারণ, জীবনে অন্ধকারের পরেই তো আলো আসে। রাতের পরেই দিন আসে। জীবনে চলার পথে অমাবস্যাও আসে। সেই অমাবস্যা পার করে আবার পূর্ণিমাও আসে।” তাঁর সাফ কথা, ‘‘আমার জীবনে সব সময় বসন্ত৷ আমি আমার জীবন সম্পর্কে কিছু লুকোই না৷ সব কিছুই সকলের সঙ্গে শেয়ার করব৷ অপেক্ষা করুন৷’’ সুজাতা বলেন, ‘‘এখনও কারও নাম বলছি না৷ তবে আমি অল্প বয়সী মেয়ে৷ বসন্ত একশো বছরেও আসতে পারে৷ শুধু মনটাকে তরুণ রাখতে হবে৷’’