কলকাতা: মাত্র দু’সপ্তাহ হয়েছে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। এর মধ্যেই রাজনীতি হোক বা অভিনয় জগৎ, একাধিক মহল থেকেই তীর্যক সমালোচনা ও কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে টলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেতাকে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে করা হল তদন্তের সুপারিশও।
মাসিক আড়াই লক্ষ টাকা বেতনের সরকারি বেতন পেতেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, সেই চাকরি সংক্রান্ত বিষয়েই এবার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর জনৈক এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে। সুপারিশ এসেছে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীর কাছেও৷
পুরো বিষয়টিকে অবশ্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চোখে দেখছেন গেরুয়া নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, “এমন অনেক অপমান আসবে আমি জানি। অপেক্ষা করে আছি। দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মানেই কোনও ব্যক্তি দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হচ্ছে, বলা হচ্ছে সে কাজ করেনি, ফাঁকি দিয়েছে। এটাই এখন রুটিন।” ঠিক কী অভিযোগ আনা হয়েছে রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে? জানা গেছে, ২০১৫ সালে রাইট টু পাবলিক সার্ভিসের কমিশনার পদে নিযুক্ত করা হয় রুদ্রনীল ঘোষকে। এই পদের জন্য বেতন হিসেবে প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকা করে পেতেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ ছিল, নিয়মিত অফিসেই যেতেন না অভিনেতা। করতেন না কাজও!
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে রুদ্রনীল ঘোষের পদের মেয়াদ শেষ হয়। তবে মেয়াদ শেষের আগেই তথ্য জানার অধিকারে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দেন এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্তের সুপারিশ করেছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। ওই ব্যক্তির চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, রুদ্রনীল ঘোষ যে পদে রয়েছেন তাঁর কাজ কী? দফতরে অনিয়মিত উপস্থিতি সত্ত্বেও রুদ্রনীল কেন নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন? সরকারি অর্থের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।