পার্থ-কাণ্ডে বুদ্ধিজীবীদের নীরবতাকে ঠুকে নয়া কবিতা রুদ্রর! পার্থর অপসারণে কড়া প্রতিক্রিয়া অপর্ণার

পার্থ-কাণ্ডে বুদ্ধিজীবীদের নীরবতাকে ঠুকে নয়া কবিতা রুদ্রর! পার্থর অপসারণে কড়া প্রতিক্রিয়া অপর্ণার

46deb200fe44d5d35e6076fc159fe6b9

কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি এবং ইডি হানায় ৫০ কোটি উদ্ধার৷ এই ঘটনা শুধু বাংলায় নয়, শোরগোল ফেলেছে গোটা দেশে৷ কিন্তু দু’একজন ছাড়া এই বিষয়ে মুখে কুলুপ বুদ্ধিজীবীদের৷ আর বুদ্ধিজীবীদের সেই  নীরবতাকে ঠুকেই ফের কবিতা লিখলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ৷ বুদ্ধিজীবীদের ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে নয়া কবিতা পোস্ট করলেন বিজেপি নেতা৷ তাঁর কবিতায় উঠে এল কামদুনি, হাঁসখালি, বগটুই, আনিস খানের প্রসঙ্গ৷ নাম না করে ‘চোরের মায়ের গলায় বড় গলা’ বলে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ 

আরও পড়ুন- ফের প্রকাশ করতে হবে প্রতিটি প্রার্থীর নাম-নম্বর! নির্দেশ পেল SSC

রুদ্রর কবিতার ছত্রে ছত্রে ঝরে পড়েছে বিদ্রুপ৷ কবিতার শুরুটাই তিনি করেছেন ‘ও বুদ্ধিজীবী’ সম্ভাষণে৷ পার্থ-কাণ্ডে বুদ্ধিজীবীদের নীরবতায় তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ও বুদ্ধিজীবী, লেখক-কবি ঘুমিয়ে গেলেন নাকি ?’’ আর পরের লাইনেই সরাসরি সরকারি ভাতার প্রসঙ্গ টেনে তাঁর কটাক্ষ, ‘ভাতা পেয়ে, দাতার ভয়ে লজ্জা পাওয়া বাকি! দিচ্ছ কাকে ফাঁকে?’’ যাঁরা মানুষ নিয়ে ভাবেন, তাঁরা কেন আজ চুপ, বারবার সেই প্রশ্নই তুলেছেন রুদ্র৷ 

নতুন কবিতায় রুদ্রনীলকে বলতে শোনা গিয়েছে, ২০১১ সালে অপশাসন শেষ করতে সাধারণ মানুষকে সজাগ করতে রাস্তায় নেমেছিলেন বুদ্ধিজীবীরা৷ আজ সেই সরকারের সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে অভিযোগ৷ তাও কেন চুপ সব বুদ্ধিজীবী? তাঁর দাবি, তাহলে হোক ২০১১-র রিমেক৷ তাঁর কথায়, বাংলার মা বিস্মিত৷ ‘বাংলার মানুষ চিনছে লুটেরাদের, বাংলার শড়শয্যা৷’ যদিও এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই অপর্ণা সেন সহ মুখ খুলেছেন বেশ কিছু বিশিষ্টজন৷ 


বৃহস্পতিবার রাতে টুইট করে অভিনেত্রী তথা চিত্রপরিচালক অপর্ণা সেন বলেন, “প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে যে অর্থ উদ্ধার হয়েছে তা পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র মানুষকে শোষণ করে পাওয়া৷ এই কথাটা ভুলে গেলে চলবে না। মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। কিন্তু, এতে সব অপরাধ ধোয়া যাবে না। যাঁদের লুট করে এই টাকা জমানো হয়েছে সেটা তাঁদের উপকারের জন্যই ব্যয় করা উচিত।”

এ প্রসঙ্গে কবীর সুমন বলেন, “তদন্ত হোক। তদন্ত শেষ হোক। মামলা হোক। তিনি দোষী সাব্যস্ত হোন। মামলা এখনও হয়নি। আমরা সাধারণ লোক। কী বলি!” অন্যদিকে শুভাপ্রসন্নের কথায়, ‘‘এখন গোটা বিষয়টা বিচারাধীন। কোর্টের প্রক্রিয়া চলছে। একটা ডামাডোল চলছে। আমি তো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। কাজেই এ নিয়ে আমার মন্তব্য করাটা ঠিক নয়।”