কে জানে কখন নদী আস্ত বাড়িটাকেই গিলে খাবে! আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে গ্রামবাসীদের

কে জানে কখন নদী আস্ত বাড়িটাকেই গিলে খাবে! আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে গ্রামবাসীদের

বাঁকুড়া: চোখের সামনে নদী গিলে যাচ্ছে চাষের জমি। কিন্তু সরকারি উদ্যোগ ছাড়া নিজেদের কিছুই করার নেই। তাই শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা আর সব হারিয়ে এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকা ছাড়া উপায় কি৷ এখন এটাই রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকার ইন্দাসের খটনগর কলোনীতে।

এলাকারবাসিন্দারা  জানিয়েছেন, প্রতিদিন দ্বারকেশ্বর নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। এমনকি স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তারা। বিধায়কেরও এই সমস্যা সমাধানে কোন সদর্থক উদ্যোগ নেই। এক ফসলী থেকে চার ফসলী জমি সব নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন ছেলে মেয়েদের নিয়ে পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নেই বলেই তারা জানিয়েছেন।

স্থানীয় গ্রামবাসী বিশ্বনাথ খাঁ, সন্ধ্যা দে’রা বলেন, ‘‘আতঙ্ক সব সময় তাড়া করে বেড়ায়৷ আতঙ্কে রাতেও ঠিক করে ঘুমোতে পারি না৷ কারণ, কে জানে কখন নদী আস্ত বাড়িটাকেই গিলে খাবে!’’ বাসিন্দারা জানিয়েছে, কয়েক বছর আগেও নদীটা ছিল গ্রাম থেকে অনেকটা দূরে৷ কিন্তু বছর বছর নদী ভাঙনের জেরে নদীটা ক্রমেই গ্রামের সামনে এগিয়ে আসছে৷ তারই জেরে এখন গ্রামের পাশে চলে এসেছে নদী৷ ইতিমধ্যে অনেকে খুইয়েছেন বসত বাড়ি, চাষের জমিও৷ কিন্তু প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই৷ যদিও এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের কোনও কর্তার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ ফলে আতঙ্ককে সঙ্গী করেই নদীর পারে রাত কাটছে গ্রামের বাসিন্দাদের৷ সঙ্গী আতঙ্ক, এই বুঝি আবার গিলে খেল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − six =