সাগর: পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত চাষের জমি। সোমবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা গঙ্গাসাগরে মহিষামারী গ্রামে হুগলি নদী বাঁধ কোটালের জোয়ারে জলের তোড়ে ভেঙে যায়।
নদী বাঁধ ভেঙ্গে এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে সমুদ্রের নোনা জল। নোনা জলে চাষের জমি। নদী বাঁধ ভেঙে চাষের জমি প্লাবিত হয় ইতিমধ্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মহিষামারী গ্রামে কয়েকশো পরিবার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আম্ফান থেকে ইয়াস একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল মাটির এই নদী বাঁধ। বেশ কয়েকবার নদী বাঁধ মেরামত করার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে বিধায়কের কাছে বারবার আবেদন করার পরেও কোনো রকম সুরাহা হয়নি।
আজ সকালে পূর্ণিমার কোটালের জোয়ারের তোড়ে প্রায় দু কিলোমিটার নদী বাঁধ ভেঙে যায়। নদী বাঁধ ভেঙে চাষের জমিতে ঢুকতে শুরু করেছে সমুদ্রের নোনা জল। গ্রামবাসীদের দাবী রাতে পূর্ণিমার কোটালের জেরে আরো বেশি সমুদ্রে জলস্ফীতি দেখা যাবে ফলে চাষের জমি থেকে শুরু করে গোটা গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মহিষামারী গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কাজল মন্ডল জানান, ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের শেষ দপ্তরের বহুবার আবেদন করেছি তাও কোন সুরাহা হয়নি। বহুবার আমরা পঞ্চায়েতের তরফ থেকে নদীবাঁধ সুরক্ষিত করার জন্য ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে নদী বাঁধ মাটির ফেলেছি। কিন্তু হুগলি নদীর মোহনা থাকার কারণে মাটির নদীবাঁধ বারবার ভেঙে যায়। আমরা স্থায়ী নদী বাঁধের আবেদন জানিয়েছে।